
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে নয় দফা দাবিতে উত্তাল গোটা দেশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে গত ১৭ জুলাই থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) প্রশাসন। তবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এবার ক্যাম্পাস খুলতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে শিক্ষার্থীদের।
আজ শনিবার (৩ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাডে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত একটি বিবৃতি ফেসবুকে পোস্ট করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে এই মর্মে ঘোষণা দিতে চাচ্ছি যে, চলমান আন্দোলনে ক্ষমতাসীন সরকার কর্তৃক গুম-খুন, দমন-পীড়ন ও গণগ্রেপ্তারের কারণে ছাত্র হিসেবে আমরা খুবই আতঙ্ক ও উদ্বেগের মধ্যে দিনাতিপাত করছি। এই অবস্থায় আমরা নিজেদের বর্তমান আবাসস্থলে নিজেদেরকে কিছুতেই নিরাপদ বোধ করছি না। সঙ্গত কারণেই আমরা আমাদের নিরাপদ ক্যাম্পাসের হলগুলোতে শান্তিপূর্ণ উপায়ে ফিরে যেতে চাই। তাই আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আমাদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে আমাদেরকে নিজ নিজ হলগুলোতে ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
এতে আরো বলা হয়, যদি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হল খুলে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের শান্তিপূর্ণ আহ্বানে সাড়া না দেয়, তাহলে আমরা নিজেরাই নিজেদের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়ে হলে ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করবো। সেই প্রেক্ষিতে যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন স্বয়ং দায়ভার নিতে বাধ্য থাকবে।
বিবৃতির বিষয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক সমন্বয়ক মাহায়ের ইসলাম বলেন, এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে এই সরকারের গুম, খুন, নির্যাতনে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা নিজেদের বর্তমান আবাস্থলে নিরাপদ বোধ করছি না। এজন্যই আমরা আমাদের হলে শান্তিপূর্ণ অবস্থানের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে হল খুলে দিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের দাবি না মানলে আমরা সকল শিক্ষার্থীকে নিয়ে হল দখল করে হলে ঢুকতে বাধ্য হব। আর এই পরিস্থিতি কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলে তার দায় সম্পূর্ণভাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের।
তিনি আরো বলেন, আমরা বিভিন্ন গ্রুপ এবং বিভিন্নভাবে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে, জরিপ করে তাদের মতামতের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে যদি শিক্ষার্থীরা আমাদের অফিসিয়ালি জানায় তাহলে আমরা আলোচনা করে দেখবো। আমরা সবসময়ই শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনায় বসতে রাজি।