
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূইঞা ও প্রক্টর আবদুল কাইউম।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগে বাধ্য হয়েছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূইঞা এবং প্রক্টর আবদুল কাইউমসহ ১৩ জন।
আজ মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দুপুরে ভিসি ও প্রক্টরের পদত্যাগ দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মত শিক্ষার্থীদের আন্দোলন শুরু হলে প্রথমে প্রক্টর আবদুল কাইউম রেজিস্ট্রার বরাবর চিঠি দিয়ে পদত্যাগ করেন।
পরে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণ দেখিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বরাবর চিঠি দিয়ে পদত্যাগ করেন উপাচার্য ড. মুহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূইঞা।
এছাড়াও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য ও কর্মকর্তা-কর্মচারি মিলিয়ে আরো ১১ জন পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন।
ভিসি এবং প্রক্টরের পদত্যাগের পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা একাডেমিক ভবনের সামনে অবস্থান নেয়।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলাম জানান, ‘ভিসি ও প্রক্টর পদত্যাগ করেছেন। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছি।’
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সুজয় বিশ্বাস শুভ বলেন, ‘ভিসি এবং প্রক্টর ছাত্র আন্দোলন দমাতে ও শিক্ষার্থীদের হয়রানি করতে নানাভাবে চেষ্টা চালিয়েছিলেন।’
জানা গেছে, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. মুহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূইঞা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক। এছাড়া প্রক্টর আবদুল কাইউম বরিশাল আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। সিটি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর উপদেষ্টাও ছিলেন তিনি।