ক্যাম্পাসে এসে মারধরের শিকার ইবি ছাত্রলীগকর্মী

ইবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৭:৩৪

জিনিসপত্র নিতে এসে গণধোলাইয়ে শিকার হয়েছেন ছাত্রলীগ কর্মী।
হল থেকে জিনিসপত্র নিতে এসে গণধোলাইয়ে শিকার হয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগ কর্মী জাকি ইসলাম।
গতকাল সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল গেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে উত্তেজিত শিক্ষার্থীদের হাত থেকে তাকে উদ্ধার করেন ইবির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা।
গণধোলাইয়ের শিকার ওই ছাত্রলীগকর্মী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। জাকি শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাতের অনুসারী বলে জানা গেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে জাকিকে শাখা ছাত্রলীগের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হতে দেখা যেত।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী সরকার পতনের পরে এই প্রথম ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন জাকি। তার নিজের এবং একই হলের অন্য ব্লকের আরো ২ ছাত্রলীগ নেতার জিনিসপত্র নিয়ে যেতে ক্যাম্পাসে আসেন তিনি। যাবতীয় জিনিসপত্র পিকাপ ভ্যানে উঠিয়ে বের হওয়ার সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তার বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা তার ওপর চড়াও হলে তিনি আতঙ্কিত হয়ে বঙ্গবন্ধু হল গেট থেকে দৌড়ে পুকুরপাড় হয়ে ক্রিকেট মাঠের দিকে যান। এসময় বিপরীত পাশ থেকে শিক্ষার্থীদের আরেকটি গ্রুপ তাকে ধরে ফেলেন। ঘটনা জানতে পরে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা। পরে তারা তাকে উদ্ধার করে নিরাপদে ক্যাম্পাসের বাইরে পাঠিয়ে দেন।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জাকি বলেন, আমি সব কাজ প্রকাশ্যে করছি৷ আমি হলে থেকে আমার জিনিসপত্র নিতে আসছিলাম কিন্তু এভাবে অসম্মানিত হবো ভাবি নাই। হলে থাকতে হলে সবাইকেই ছাত্রলীগ করতে হতো তাই আমিও সেরকমই একজন ছিলাম। পদ-পদবী না থাকলেও আমাকে ভুক্তভোগী করা হয়েছে। ক্যাম্পাসে থাকাকালীন আমার ভালো কাজ ও খারাপ কাজের বিষয়ে সবাই অবগত। আমি কারো ক্ষতি করি নাই।
ইবির সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, হল থেকে শাখা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়ার সময় সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে ধাওয়া করে। একপর্যায়ে তারা তাকে ধরে মারধর করতে উদ্যত হয়। এসময় আমরা উত্তেজিত শিক্ষার্থীদের হাত থেকে উদ্ধার করে নিরাপদে বাসায় পৌঁছানোর ব্যবস্থা করি।