বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুপর্ণা দাস।
চলতি বছরের জুন মাসের ৯ তারিখে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ( ববি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের স্নাতক চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী শিফা নূর ইবাদি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। এর তিন মাস হতে না হতেই ববির আরেক ছাত্রী সুপর্ণা দাস একই পথ বেছে নেন।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের সুপর্ণা দাস নামে এ সাবেক ছাত্রীকে তার নিজ বাসা থেকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। সে বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার সোনামুখি এলাকার শ্যামল দাসের কন্যা।
আজ শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টায় ওই ছাত্রী বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বলে জানিয়েছেন কোতয়ালী মডেল থানার এসআই মাজেদুল ইসলাম ।
বরিশাল মহানগর পুলিশের বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার মিস্ত্রি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে শুনেছি। লাশ মেডিকেলে রয়েছে।
বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার আবুল কালাম বলেন, মেহেন্দিগঞ্জের গ্রামের বাড়িতে একটি মেয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তার লাশ হাসপাতালে রয়েছে।
মেহেন্দিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াসিনুল হক বলেন, পরিবার থেকে থানায় কেউ কিছু জানায়নি। কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি কল করে বিষয়টি জানিয়েছে। বাসায় গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি।
লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরিকারী কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই মাজেদুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার বিকালে নিজ বাসায় ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকালে মারা গেছেন। কি কারণে আত্মহত্যা করেছেন পরিবার জানাতে পারেনি। পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়না তদন্ত ছাড়া লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বরিশালে বিশ্ববিদ্যালয়ে গত এক বছরের ব্যবধানে চার ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে।
