
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র্যালি। ছবি- জবি প্রতিনিধি
জুলাই বিপ্লবের চেতনাকে ধারণ করে ‘বিপ্লবে বলীয়ান নির্ভীক জবিয়ান’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বর্ণাঢ্য আয়োজনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দুই দশকে পদার্পণ উদযাপন করা হয়েছে।
দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ, র্যালি, বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘোষণা ফলক (পুনঃস্থাপন) উন্মোচন, চারুকলা ও চিত্রকর্ম প্রদর্শনী, আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
রবিবার (২০ অক্টোবর) সকালে শহিদ মিনার চত্বরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের শুভ উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম।
আনন্দ র্যালিটি শহীদ মিনার চত্বর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে রায় সাহেব বাজার মোড় ঘুরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে শেষ হয়। এসময় প্রতিটি বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সাংবাদিক, কর্মকর্তা, কর্মচারীরা নিজস্ব বিভাগীয় ব্যানারে র্যালিতে অংশগ্রহণ করে।
র্যালি শেষে সকাল ১১ টা ৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া কর্তৃক ঘোষণাফলক উন্মোচন করা হয়।
ছাত্র-ছাত্রীরা নানা রঙ-বেরঙের পাঞ্জাবি, টি-শার্ট ও শাড়ি পরে নেচে গেয়ে র্যালিতে অংশ নেন। র্যালি শেষে উপাচার্য চিত্রকর্ম ও চারুকলা প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। এতে বিভাগীয় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আঁকা ছবি ও অন্যান্য শিল্পকর্ম স্থান পায়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জুলাই বিপ্লবে শহিদদের রুহের মাগফিরাত, আহতদের সুস্থতা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক কল্যাণ কামনায় দোয়া মাহফিল আয়োজিত হয়। এরপর বিকাল ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ‘ছায়াহীন কায়া’ নাটক মঞ্চায়িত হয়।
সার্বিক বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের অনেকেই এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছে। তারা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক এই কামনা করছি। তাদের জন্যই আজ আমরা স্বৈরাচারমুক্ত স্বাধীন দেশে বিচরণ করতে পারছি।’
নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘দেশ ও সমাজের কল্যাণে কাজ করার জন্য নিজেদেরকে উপযুক্ত হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়া দীর্ঘমেয়াদী হলেও অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় সর্বপ্রথম আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বহুবিধ সমস্যা থাকার পরও একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যাবলী গতিশীল করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। আমাদের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে দৃশ্যমান কোনো কাজ হয়নি। যার ফলে আমরা অবকাঠামোগতভাবে পিছিয়ে আছি। এসব নানাবিধ চ্যালেঞ্জকে মোকাবেলা করেই এগিয়ে যেতে হবে।’