Logo
×

Follow Us

শিক্ষা

২৮ মাস বেতন বন্ধ সেকায়েপ শিক্ষকদের

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ মে ২০২০, ২৩:২৯

২৮ মাস বেতন বন্ধ সেকায়েপ শিক্ষকদের

গত ২৮ মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না সেকেন্ডারি এডুকেশন কোয়ালিটি অ্যান্ড অ্যাকসেস এনহান্সমেন্ট প্রজেক্ট (সেকায়েপ) কর্তৃক চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকরা। আগে স্কুল থেকে কিছু টাকা পেলেও করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে তা বন্ধ হয়ে গেছে। গত প্রায় আড়াই বছর ধরে বিনা বেতনে স্কুলে পাঠদান করে আসা এই শিক্ষকরা তাদের চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি বকেয়া পড়া বেতনসহ করোনার কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে প্রণোদনাও দাবি করেছেন।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ অতিরিক্ত শ্রেণী শিক্ষক (এসিটি) অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি রাফিউল ইসলাম রাফি গণমাধ্যমকে বলেন, ২০১৫ সালে আমরা সেকায়েপ প্রকল্পের আওতায় চুক্তিভিত্তিক চাকরিতে যোগদান করি। ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর আমাদের মেয়াদ শেষ হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক মেয়াদ শেষে সেকায়েপভুক্ত পাঁচ হাজার ২০০ জন অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষককে (এসিটি) চাকরি স্থায়ীকরণ বা পরবর্তী প্রোগ্রামে অন্তর্ভুক্ত করার আশ্বাস দেয়া হয়। কিন্তু বিগত ২৮ মাসে তা বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে বেতনহীন অবস্থায় বিপাকে পড়েছি আমরা। এর সঙ্গে করোনা ভাইরাসের প্রভাব আমাদের জীবনকে আরো দুর্বিষহ করে তুলেছে।

চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনা করে চাকরি স্থায়ীকরণের প্রজ্ঞাপন জারি করা না হলে আমাদের না খেয়ে মরতে হবে। পাশাপাশি করোনা মোকাবিলার জন্য আর্থিক প্রণোদনার দাবিও জানাই।

শিক্ষকদের দাবি, এসিটি শিক্ষকদের অভিজ্ঞতা, বয়স ও মানবিক দিক বিবেচনা করে ২৮ মাসের বকেয়া বেতন প্রদানসহ দ্রুত চাকরি স্থায়ী করতে হবে। অথবা বিনা শর্তে পরবর্তী প্রোগ্রামে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এক্ষেত্রে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।

২০১৫ সালে মাধ্যমিক পর্যায়ে বিষয়ভিত্তিক মানসম্মত শিক্ষকের অনুপস্থিতির কারণে সরকার সেকায়েপ প্রকল্পের মাধ্যমে সারাদেশে পাঁচ হাজার ২০০ জন বিষয়ভিত্তিক (ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান) অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষক তিন বছর মেয়াদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়। ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর তাদের মেয়াদ শেষ হয়।


Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫