দুই মাস পিছিয়ে যাচ্ছে আগামী বছরের এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৪:৪১

পরীক্ষার্থীরা। ছবি: সংগৃহীত
গত বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আগের মতো ফেব্রুয়ারিতে শুরু হলেও আগামী বছরের পরীক্ষা আবারও পিছিয়ে যাচ্ছে। প্রায় দুই মাস পিছিয়ে এসএসসি পরীক্ষা পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর এপ্রিলে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে শিক্ষাবোর্ডগুলো।
এসএসসি পরীক্ষা পিছিয়ে যাওয়ায় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষাও মাস দু-এক পিছিয়ে যাচ্ছে। এসব পরীক্ষা জুন মাসে নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
ঢাকা শিক্ষাবোর্ড সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। তবে এ বিষয়ে নাম প্রকাশ করে কেউ কথা বলতে চাননি।
সাধারণত এসএসসি পরীক্ষা ফেব্রুয়ারির শুরুতে ও এইচএসসি পরীক্ষা এপ্রিলের শুরুতে হতো। কিন্তু করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে ২০২০ সালের মার্চ থেকে পুরো শিক্ষাপঞ্জি এলোমেলো হয়ে গেছে। ২০২৩ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছিল গত ৩০ এপ্রিল। এরপর গত বছর থেকে এ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছিল। গত বছর এই পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে। কিন্তু আগামী বছর আবারও তা পিছিয়ে যাচ্ছে।
ফেব্রুয়ারিতে পরীক্ষা হবে এমনটি ধরে নিয়ে এসএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করেছিল শিক্ষাবোর্ডগুলো। সেই লক্ষ্যে এখন স্কুলগুলোতে চলছে নির্বাচনী পরীক্ষা। আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে ফরম পূরণেরও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
তবে, কী কারণে পরীক্ষা পেছানো হচ্ছে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে কেউ কিছু বলছেন না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের একজন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পড়াশোনার ক্ষতি হয়েছে। এ জন্য ঠিকমতো পাঠ্যসূচি শেষ করা সম্ভব হয়নি। আবার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের পক্ষ থেকেও আবেদন আছে। তাই ফেব্রুয়ারিতে পরীক্ষা নিয়ে যাতে কোনো সমস্যা না হয়, সে জন্য এসএসসি পরীক্ষা পিছিয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। আর এইচএসসি পরীক্ষা পবিত্র ঈদুল আজহার পর নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
ঢাকা শিক্ষাবোর্ড সূত্রে জানা গেছে, আগামী বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা হবে পূর্ণাঙ্গ পাঠ্যসূচিতে অনুষ্ঠিত হবে। সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বর ও সময়ে এ পরীক্ষা হবে। আর ২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা হবে ২০২৩ সালের মতো সংক্ষিপ্ত বা পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাসে। তবে পরীক্ষা হবে সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বরে।
প্রসঙ্গত, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হতে পারে ৩১ মার্চে। আর পবিত্র ঈদুল আজহা হতে পারে আগামী বছরের ৭ জুন।