Logo
×

Follow Us

শিক্ষা

মাভাবিপ্রবিতে মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

Icon

মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫৪

মাভাবিপ্রবিতে মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী পালন। ছবি: মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি

মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। 

আজ রবিবার (১৭ নভেম্বর) নানা কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হচ্ছে। 

১৯৭৬ সালের এই দিনে ঢাকার পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সন্তোষ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় টেকনিক্যাল কলেজ, মওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশন, ভাসানী পরিষদসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

গত ১১ নভেম্বর থেকেই মওলানা ভাসানীর হাজার হাজার ভক্ত অনুসারী ও মুরিদান সন্তোষে এসেছেন।

এদিকে ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে সাত দিনব্যাপী ‘ভাসানী মেলা’ চলছে। ১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে মওলানা ভাসানীর জন্ম। সিরাজগঞ্জে জন্ম হলেও মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী তার জীবনের সিংহভাগই কাটিয়েছেন টাঙ্গাইলের সন্তোষে। সন্তোষের মাটিতেই তিনি চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন। শোষণ ও বঞ্চনাহীন, প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনের জন্য মওলানা ভাসানী আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। বাঙালি জাতিসত্তা বিকাশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন মওলানা ভাসানী। সাহসী ও নিবেদিতপ্রাণ সাধারণ মানুষের এই নেতা তার প্রায় পুরোটা জীবন নির্যাতিত ও নিপীড়িত মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। পেয়েছিলেন ‘মাজলুম জননেতা’ উপাধি।

ইসলামের প্রতি ভাসানীর প্রতিশ্রুতি তাকে ধর্মান্ধ করে তোলেনি। বাংলাদেশের পক্ষে অসাম্প্রদায়িক সংগ্রামে তার বিশ্বাস ছিল দ্ব্যর্থহীন। মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী তার কৈশোর-যৌবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। দীর্ঘদিন তিনি তৎকালীন বাংলা-আসাম প্রদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি ছিলেন। লাইন-প্রথা উচ্ছেদ, জমিদারদের নির্যাতন বিরোধী আন্দোলন- সারাজীবনই তিনি সাধারণ মানুষের কল্যাণে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন। তার উদ্যোগে ১৯৫৭ সালে কাগমারীতে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলন বাংলাদেশের রাজনীতিতে মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি সর্বদলীয় ওয়ার কাউন্সিলের উপদেষ্টা ছিলেন। স্বাধীনতার পর তার সর্বশেষ কীর্তি ছিল ফারাক্কা লং মার্চ। তিনি ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট গঠনকারী প্রধান নেতাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে গঠিত প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলীর সভাপতিও ছিলেন তিনি। এদিকে ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকীতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা, অন্যান্য রাজনৈতিক দল এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টারা ভাসানীর মাজার জিয়ারত করবেন বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে।

ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকেও বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫