সিলেট সরকারি অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুপুরের খাবার খেয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

আজ রবিবার ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সঙ্গে বসে  খিচুড়ি ও ডিম দিয়ে তাদের মিড ডে মিল খান শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা উপমন্ত্রী। দুপুর দেড়টার দিকে এই আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে সিলেটের চার জেলার নতুন ১৪টি বিদ্যালয়ের ‘মিড ডে মিল’ চালু করেন শিক্ষামন্ত্রী।

উদ্বোধন হওয়া ১৪টি বিদ্যালয়ের মধ্যে সিলেটের দুইটি, মৌলভীবাজারের তিনটি, হবিগঞ্জের চারটি এবং সুনামগঞ্জের পাঁচটি মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে।  এ নিয়ে সিলেট বিভাগের ৪ জেলায় মোট ৬২২টি বিদ্যালয়ে মিড ডে মিল চালু হলো। এই বিদ্যালয়গুলোতে মোট শিক্ষার্থী রয়েছে ২ লাখ ৭০ হাজার।  অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। সভাপতিত্ব করেন অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ বাবলী পুরকায়স্থ।

অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, শিক্ষা উন্নয়নে সরকার কোনো আপস করবে না। এক্ষেত্রে যত সমস্যা-সংকট আছে সব অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সমাধান করা হচ্ছে। দু’একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে যে সমস্যা চলছে তা অচিরেই নিরসন হবে। সারা দেশের শিক্ষক সংকট দূর করা হচ্ছে। কেবল শিক্ষার প্রসার নয়, গুণগত শিক্ষা নিশ্চিতে সরকার কাজ করছে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের সন্তানদের শিক্ষার পাশাপাশি পুষ্টির বিষয়েও নজর দিতে হবে। তারা সারা দিন বিদ্যালয়ে যাতে অভুক্ত না থাকে, সেই চিন্তা থেকে মিড ডে মিল চালু করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশের সব বিদ্যালয় এই কর্মসূচির আওতায় আসবে। বিদ্যালয়ের পাশে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে খাবার রান্না ও পরিবেশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে তিনি বিদ্যালয়ের শিক্ষক, অভিভাবক ও স্থানীয় বিশিষ্টজনকে আন্তরিকভাবে সহযোগিতার আহ্বান জানান।

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, দেশে শিক্ষাক্ষেত্রে বিপ্লব চলছে। সরকার শিক্ষার জন্য সবকিছু করছে। এখন শিক্ষা প্রসারের পাশাপাশি শিক্ষার মান নিশ্চিতে জোর দেওয়া হয়েছে। যাতে আমাদের ছেলে-মেয়েদের মেধার যথাযথ বিকাশ হয়। তারা ভবিষ্যতের যোগ্য নাগরিক হয়ে গড়ে উঠতে পারে।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাসচিব সোহরাব হোসেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী প্রমুখ।