প্রেমিককে ভিডিও কলে রেখে জাবি শিক্ষার্থীর ‘আত্মহত্যা’

জাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫১

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) বীরপ্রতীক তারামন বিবি হল থেকে তাকিয়া তাসনিম নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
আজ রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোর পাঁচটার দিকে তারমন বিবি হলের ৭ম তলার ৭০০৫ নম্বর কক্ষ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে সহপাঠীরা।
তার সহপাঠী ও হল প্রভোস্টের সূত্রে জানা যায়, তাসনিম আবাসিক হলে অনিয়মিত ছিলেন। সে সাভারে তার মামার বাসায় থেকে ক্লাস করতেন। গতরাতে সে হলে আসেন। তার অন্য রুমমেটরা হলে না থাকায় সে একাই রুমে ছিলেন।
তার মোবাইল ফোনে দেখা যায় আত্মহত্যার আগে সে ১ ঘণ্টা ৫৪ মিনিট ভিডিও কলে কথা বলেছেন। সহপাঠীদের কাছ থেকে জানা যায়, ভিডিও কলে থাকা ব্যক্তিটি তার প্রেমিক সাব্বির। ভিডিও কলে মেয়েটির সাথে প্রেমিকের ঝগড়া হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে সে প্রেমিককে ভিডিও কলে রেখেই সিলিং ফ্যানের সাথে ফাঁস নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় তার প্রেমিক মেয়েটির সহপাঠীদের বিষয়টি অবগত করেন এবং মেয়েটিকে বাঁচাতে বলেন। এ সময় সহপাঠীরা তার রুমের সামনে আসলে দরজা বন্ধ দেখতে পান। এ ঘটনা তারা হলে প্রভোস্টকে জানান। হল প্রভোস্ট মেয়েটিকে দরজা খুলে উদ্ধার করতে বলেন। তবে তার সহপাঠীরা দরজা খুলতে ভয় পাচ্ছিলেন। একপর্যায়ে দরজা ভেঙে রুমে প্রবেশ করে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান সহপাঠীরা। এ সময় তাকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে বীরপ্রতীক তারামন বিবি হলে প্রভোস্ট আবেদা সুলতানা জানান, আমি গতরাতে প্রায় দশটা পর্যন্ত হলে ছিলাম। রাত পাঁচটার দিকে আমার কাছে এই তথ্য দেয় মেয়েরা। আমি তাদেরকে মেয়েটিকে উদ্ধার করতে বলি এবং হল সুপারকে বিষয়টি অবগত করি। সেই সাথে মেডিকেল সেন্টারে ফোন দিয়ে ডাক্তারকে সেখানে যেতে বলি। মেয়েরা প্রথমে দরজা ভাঙতে ভয় পাচ্ছিলেন। একপর্যায়ে কিছু সাহসী মেয়ে দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করেন। ডাক্তারের কাছে নেওয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে তিনি আরো বলেন, এটি একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু। তাই আমরা পুলিশকে জানিয়েছি। পুলিশ এসেছে। তার বাড়িতেও জানানো হয়েছে। তার অভিভাবক মামা এসেছেন। তার রুমে ডায়েরি ও মোবাইলসহ কিছু জিনিস পত্র পাওয়া গেছে। পুলিশ সেগুলো দেখছে। সেখানে হয়তো কিছু থাকতে পারে।
উল্লেখ্য, তাকিয়া মাগুরা সদর উপজেলারা পারান্দুয়ালী এলাকার ব্যবসায়ী আরিফ হোসেনর মেয়ে।