জাবি ছাত্রদলের নামে অছাত্রদের আধিপত্য, শিক্ষার্থীরা উদ্বিগ্ন

জাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৫৯

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: জাবি প্রতিনিধি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা হওয়াকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রদের আনাগোনা বেড়েছে। শিক্ষার্থীরা আশঙ্কা করছেন, ছাত্ররাজনীতির লাটাই আবারও অছাত্রদের হাতে গেলে ছাত্ররাজনীতির গুণগত পরিবর্তনের স্বপ্ন দুঃস্বপ্ন হয়ে যাবে।
গত ১৬ ডিসেম্বরের আগেই ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা করার কথা থাকলেও তা এখনো হয়নি। তবে খুব দ্রুতই কমিটি ঘোষণা করা হবে বলে চারিদিকে চাউর হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা মনে করছেন, ছাত্ররাজনীতির লাগাম রানিং শিক্ষার্থীদের হাতেই থাকা উচিত। অন্যথায় এটির অপব্যবহারের মাত্রা অনেক বাড়বে। অতীতের ন্যায় হলের সিট দখল, সিট বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসবাদের আস্ফালন, মাদক ব্যবসা, স্বজনপ্রীতি ইত্যাদির মাত্রা কমিয়ে আনতে রানিং ছাত্রদের দ্বারাই রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ হওয়া প্রয়োজন।
মাহমুদুল হাসান বলেন, রানিং ছাত্র কমিটিতে আসলে তাদের ছাত্রত্ব শেষ হওয়ার পর চলে যাওয়ার তাগিদ থাকে। পড়াশুনার পাশাপাশি অপকর্মে লিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। অছাত্ররা কমিটিতে এলে তারা হলের সিট দখল করে রাখে এতে সিট সংকট তৈরি হয়। ফলশ্রুতিতে গণরুম, গেস্টরুমের কালচার ফিরে আসার পথ তৈরি হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক নারী শিক্ষার্থী বলেন, কিছুদিন আগেই আমরা দেখেছি ছাত্রদলের এক অছাত্র কর্মী ক্যাম্পাসের শিক্ষককে অপদস্থ করেছেন এবং ধর্মীয় পোশাক নিয়ে কটূক্তি করেছেন। অ-ছাত্ররা কোন অপকর্ম করলে তাদের শাস্তি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে।
আসাদুল ইসলাম বলেন, ক্যাম্পাসের সকল অপকর্মের মূলে থাকে অছাত্ররা। তারা শিক্ষার্থীদের কথা না ভেবে যাচ্ছেতাই করে। এজন্য আমরা চাইনা ছাত্ররাজনীতির নামে অছাত্রদের পুনর্বাসন এই ক্যাম্পাসে হউক।
পদপ্রত্যাশী একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা চাই না ছাত্রদলে অ-ছাত্রদের আগমন ঘটুক। নতুন নেতৃত্বই পারে স্মার্ট ওয়েতে দলকে গতিশীল করতে। তারুণ্যের শক্তিকে মূল্যায়ন করা হবে এটাই প্রত্যাশা।
সরেজমিন প্রত্যক্ষ করে জানা যায়, রাতে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন রাস্তায় ও মোড়ে ছাত্রদলের অনেক কর্মী টহল দেন যাদের ছাত্রত্ব শেষ হয়েছে আরো ৫-৮ বছর আগেই। এসবের কারণে শিক্ষার্থীরা শঙ্কিত।