Logo
×

Follow Us

শিক্ষা

জাবিতে পরীক্ষা দিতে আসা ছাত্রলীগ কর্মী আটক

Icon

জাবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮:৪৮

জাবিতে পরীক্ষা দিতে আসা ছাত্রলীগ কর্মী আটক

আটক শরিফুল ইসলাম সোহান। ছবি: সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) সম্মান শেষ বর্ষের পরীক্ষা দিতে আসা এক শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে একদল শিক্ষার্থী। অভিযোগ রয়েছে, শরীফুল ইসলাম সোহান নামে ওই শিক্ষার্থী নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মী। এছাড়া তিনি গত বছরের ১৫ জুলাই রাতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় অংশ নিয়েছিলেন। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শাখা ছাত্রদলের একদল নেতাকর্মীর সহায়তায় তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

আজ (১৯ জানুয়ারি) বেলা দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

আটক শরীফুল ইসলাম সোহান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৯ ব্যাচের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ ও আ ফ ম কামালউদ্দিন হলের আবাসিক ছাত্র।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সম্মান শেষ বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা দিতে ক্যাম্পাসে এসেছিলেন সোহান। বেলা সাড়ে ১২টায় হলে প্রবেশ করে পরীক্ষায় বসেন। এসময় খবর পেয়ে শাখা ছাত্রদলের একদল নেতাকর্মী সেখানে উপস্থিত হন। এসময় তারা সোহানকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়ার প্রতিবাদ জানায়। তাকে পুলিশে সোপর্দ করে বিচারের দাবিও জানানো হয়। তবে বিভাগের চেয়ারম্যান তাকে পরীক্ষা শেষ করার সুযোগ দিতে বলেন। এক পর্যায়ে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের দাবির মুখে প্রক্টরিয়াল বডি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আশুলিয়া থানা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে সোহানকে আটক করে নিয়ে যায়।

ঘটনাস্থলের উপস্থিত ৪৬ ব্যাচের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী সাকিব আহমেদ বলেন, ‘আমরা খবর পাই ৪৯ ব্যাচের ছাত্রলীগ কর্মী সোহান ডিপার্টমেন্টের পরীক্ষা দিতে এসেছে। বিভিন্ন হলে তদন্ত কমিটির দেখানো ফুটেজ থেকে ১৫ জুলাই রাতে সে হামলায় অংশগ্রহণ করেছে তার প্রমাণ পাওয়া গেছে। আমরা তার বিভাগে যাই এবং বিভাগের চেয়ারম্যান স্যারকে জানাই সে প্রত্যক্ষ হামলাকারী, যার ভিডিও ফুটেজ আছে। তার মতো এমন হামলাকারীর জেলে থাকার কথা। সে কীভাবে পরীক্ষা দিতে আসে এটা আমাদের বোধগম্য নয়। আমাদের প্রশ্ন হলো পরীক্ষার দেওয়ার সাথে অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কিত। এখানে হলের প্রভোস্ট, বিভাগের চেয়ারম্যান ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের সাক্ষর দেওয়া লাগে। তারা কীভাবে এরকম একজন হামলাকারীকে পরীক্ষায় বসার অনুমতি দিল?’

জাবি ছাত্রদলের সদস্য রফিকুল ইসলাম দর্শন ৪৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা একে একে হামলাকারীদের আইনের হাতে তুলে দিচ্ছি। কিন্তু কোনো এক অদৃশ্য ক্ষমতাবলে অপরাধীরা ছাড় পেয়ে যাচ্ছে। হামলাকারীদের পরিচয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের কাছে স্পষ্ট। অথচ দেখা যাচ্ছে, অনেক শিক্ষক তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন। পরিতাপের বিষয় হলো, ছাত্রদলে অনুপ্রবেশকারী একটা অংশ অপরাধীদের শেল্টার দিচ্ছে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক জামাল উদ্দিন রুনু বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ ব্যাপারে কোনো বিজ্ঞপ্তি প্রদান করেনি যে কে পরীক্ষা দিতে পারবে, কে দিতে পারবে না। ছাত্রলীগ কর্মীদের জন্যও বলা হয়নি যে কারা পরীক্ষা দিতে পারবে না। আমি ব্যক্তিগতভাবেও সবাইকে চিনি না যে কারা কারা হামলার সঙ্গে জড়িত। সব হামলাকারীকে তো আর একসঙ্গে মনে রাখা যায় না।’ 

তবে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, ‘আমাদের তদন্ত এবং শিক্ষার্থীদের কাছে থাকা প্রমাণাদির মাধ্যমে তাকে হামলাকারী হিসেবে শনাক্ত করা গেছে। এমতাবস্থায় যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আমরা পুলিশের সহায়তা নিয়েছি। তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। প্রচলিত আইনে পুলিশ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।’

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫