জাবি প্রেসক্লাবের ১৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত

জাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫:০০

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যের ১৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এই দীর্ঘ পথচলার মাহেন্দ্রক্ষণকে স্মরণীয় করতে কেক কাটা, আনন্দ র্যালি ও বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সংগঠনটি।
আজ মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে নিজেদের কক্ষে সাধারণ সম্পাদক তানভীর ইবনে মোবারকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানটি শুরু হয়।
এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, আমার কার্যক্রম ও সংগ্রামে সাংবাদিকদের সহযোগিতা পাব এই বিশ্বাস থাকার কারণেই যেকোনো ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেওয়ার সাহস পাই। আমাদের একটাই লক্ষ্য, আমরা চাই জাবির গুণগত পরিবর্তন। এ জন্য নির্মোহ সহযোগিতা সাংবাদিকদের কাছে প্রত্যাশা করি। আমরা জানি, ফ্রি প্রেস ইজ এ ফাউন্ডেশন অব এ সোসাইটি। আমাদের ভুল সংশোধন করে দেওয়া বড় বন্ধুত্বের পরিচয় বহন করে। সেজন্য আমাদের যেকোনো ভুল হলে সাংবাদিকরা সেগুলো তুলে ধরে আমাদের সহযোগিতা করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছি।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেন, একজন মুমিন একজন মুমিনের আয়নাস্বরুন। এমনিভাবে সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ। আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম। আমি দেখেছি, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে জাবির সাংবাদিকরা অত্যধিক ক্রিয়াশীল। বিগত আন্দোলনেও তুলনামূলক বেশি ইতিবাচক ভূমিকা আমরা দেখেছি। অনেক সাংবাদিক আহতও হয়েছেন। আমাদের সাংবাদিকতা করতে হবে, গঠনমূলক, ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যে নয়। প্রশাসন ও সাংবাদিক প্রতিপক্ষ নয় বরং পরিপূরক।
সভাপতির বক্তব্যে প্রেসক্লাবের সভাপতি ওয়াজহাতুল ইসলাম বলেন, নানা ধরনের চড়াই উৎরাই পেরিয়ে এই দীর্ঘ ১৩টি বছর অতিক্রম করেছে জাবি প্রেসক্লাব। লোভ-লালসা ও ব্যক্তিগত স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে রক্তচক্ষু, হুমকি ও বাধাবিঘ্ন সাহসিকতার সাথে মোকাবেলা করে দূর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে জাবি প্রেসক্লাব। আমাদের এই পথচলায় যারা সারথি হয়েছে, যেসব শুভাকাঙ্ক্ষী আমাদের সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামরুল আহসান, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ড. মাহফুজুর রহমান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সোহেল আহমদ, কোষাধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ আব্দুর রব এবং সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক তারিকুল ইসলাম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সদ্য-সাবেক সভাপতি মোসাদ্দেকুর রহমান, সেক্রেটারি নোমান বিন হারুন ও সহ-সভাপতি আয়েশা সিদ্দিকা মেঘলা।