ইবিতে বিভাগের নাম পরিবর্তন নিয়ে মুখোমুখি শিক্ষার্থীরা

ইবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩০ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৪৬

বিভাগের নাম পরিবর্তনের পক্ষে-বিপক্ষে মুখোমুখি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) জিওগ্রাফি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থীরা। ছবি: ইবি প্রতিনিধি
বিভাগের নাম পরিবর্তনের পক্ষে-বিপক্ষে এবার মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) জিওগ্রাফি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থীরা। বিভাগটির বর্তমান নাম অপরিবর্তিত রাখার দাবিতে গতকাল বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে ‘সচেতন শিক্ষার্থী’র ব্যানারে প্রশাসন ভবনের সামনে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি করেছেন বিভাগটির শিক্ষার্থীদের একাংশ। অপরদিকে বিভাগের নাম ‘এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’ করার দাবিতে একই স্থানে বেলা ১১টার দিকে মানববন্ধন করেছেন বিভাগটির শিক্ষার্থীদের আরেকাংশ।
নাম অপরিবর্তিত রাখার পক্ষে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা জানান, জিওগ্রাফি বিষয়টি পিএসসিতে নিবন্ধিত সাবজেক্ট কিন্তু এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বা শুধু এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স কোনটিই পিএসসিতে নিবন্ধিত নেই। যে কারণে জিওগ্রাফি না থাকলে আমরা বিসিএস (শিক্ষা)-সহ জিওগ্রাফির নিবন্ধিত সরকারি চাকরিতে আবেদন করতে পারব না। বিভাগের নাম জিওগ্রাফি না রাখার পরিকল্পনা শিক্ষার্থীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হবে এবং জব সেক্টরে তীব্রভাবে সুযোগ কমে যাবে।
এদিকে বিভাগের নাম পরিবর্তনের দাবিতে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা জানান, পূর্বে বিভাগটির নাম ছিল এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড জিওগ্রাফি। পরে আইনবহির্ভূতভাবে শিক্ষার্থীদের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে বিভাগের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। গত ৫ মাস ধরে বিষয়টি সুরাহা না করে টালবাহানা করা হচ্ছে। এবার অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল ও পরবর্তী সিন্ডিকেটে বিভাগের নাম পরিবর্তন নিয়ে টালবাহানা করা হলে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধ করা হবে।
এদিকে শিক্ষার্থীদের মুখোমুখি অবস্থানে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি চলাকালে সেখানে উপস্থিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান ও সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. ফকরুল ইসলাম। এসময় প্রশাসন পরবর্তী অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে বিষয়টির যথাযথ সমাধানের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীদের উভয়পক্ষ কর্মসূচি স্থগিত করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান বলেন, তাদের দাবিগুলো প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।