পূর্বঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী ১ ফেব্রুয়ারি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার কথা জানিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে তফসিল ঘোষণার দিন শোডাউন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এসময় তারা জাকসুর গঠনতন্ত্র সংস্কার, ফ্যাসিবাদের দোসরদের পদত্যাগ ও জুলাই সন্ত্রাসীদের বিচারের আগে নির্বাচন আয়োজন না করার দাবি জানান।

গতকাল শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকাল পৌনে ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বর হতে একটি মিছিল নিয়ে নতুন রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে অবস্থান নেন।

অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হুমায়ূন হাবিব হিরন বলেন, গত ১৫ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ওপর নৃশংস হামলায় জড়িত সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ এবং এই হামলায় মদদাতা শিক্ষক ও কর্মচারীরা তাদের হাত রক্তে রঞ্জিত। আমরা চাই না তাদের বিচার হওয়ার আগে কোন নির্বাচন হোক। তাদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে, এরপরে নির্বাচন। আমাদের এ দাবি মেনে না নেয়া পর্যন্ত আমাদের এ অবস্থান কর্মসূচি চলমান থাকবে।

সদস্য সচিব অনিক বলেন, জাকসু নির্বাচনের গুরুত্বপূর্ণ চেয়ারে যারা বসে আছেন তারা আওয়ামী লীগের দোসর। তাদের বসিয়ে রেখে কোনোভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। তাছাড়া জাকসুর যে গঠনতন্ত্র রয়েছে সেটা অনেক আগের। এই গঠনতন্ত্র সংস্কার করতে হবে এবং এই কাজগুলো সম্পন্ন করে নির্বাচন দিতে হবে, অন্যথায় তা মেনে নেওয়া হবে না। আজকে আমাদের দাবি মেনে নেয়া না হলে আমরা পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করব।

আহ্বায়ক জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর বলেন, জাকসুর গঠনতন্ত্র সংস্কার এবং ১৫ জুলাই শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং আইন শৃঙ্খলার রক্ষাকারী বাহিনীর যারা জড়িত তাদের বিচার দাবিতে আমরা একটি স্মারকলিপি দিয়েছিলাম। সেই দাবির আপডেট জানতে আজকে আমাদের এই বিক্ষোভ মিছিল এবং অবস্থান কর্মসূচি। আমাদের দাবিগুলো মেনে নেয়া না হলে আমরা পরবর্তী কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হব।