ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, বুটেক্স শিক্ষার্থী পুলিশ হেফাজতে

বুটেক্স প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০৫

অভিযুক্ত বুটেক্স শিক্ষার্থী মুয়াজ মুহাম্মদ আরেফিন তালুকদার
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে উত্তাল বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) জিএমএজি ওসমানী হল ও সৈয়দ নজরুল ইসলাম হল। অভিযুক্ত শিক্ষার্থী ডাইস অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মুয়াজ মুহাম্মদ আরেফিন তালুকদার। তিনি সৈয়দ নজরুল ইসলাম হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।
ঘটনার সূত্রপাত গত রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে যখন জান্নাত নাইমের বাল্যবিবাহ সংক্রান্ত একটি ফেসবুক পোস্টে মুয়াজ মহানবী (সা.)-কে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। তার এই মন্তব্য দ্রুত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দুই হলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
তাৎক্ষণিকভাবে শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত মুয়াজকে আটক করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও হল প্রশাসন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। পরে শিক্ষকরা তাকে প্রভোস্টের কক্ষে নিয়ে যান এবং হল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করেন। পরিস্থিতির আরও অবনতি হলে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। পরে রাত দেড়টার দিকে পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে যায়। যাওয়ার পথে উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা তাকে কয়েক দফায় গণপিটুনি দেয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মুয়াজ বলেন, তার শারীরিক অসুস্থতার জন্য নিজেকে অনেক ছোট মনে হতো এবং সৃষ্টিকর্তার ওপর আমার ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে উচ্চ মাধ্যমিকে থাকাকালে আমার এক বন্ধুর সাথে পরিচয় হয় এবং তার হাত ধরে আমি এই পথে এসেছি।
তিনি আরো বলেন, ৪৮তম ব্যাচের ডাইস অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী শহিদুল ঘটনার পরপর ফোন দিয়ে আমাকে আশ্বাস দেন। হতে পারে তিনি আমার মতো একই ধারণা পোষণ করেন, তাই শহীদুল ভাই আমাকে ফোন দিয়েছিল। তবে আমি তার সাথে কোনো সংগঠনের মাধ্যমে যুক্ত না।
এ বিষয়ে ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সাইদুর রহমান রাফি বলেন, ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন সে ফেসবুকে কটূক্তিমূলক মন্তব্য করে এবং তারপর সেটা স্ক্রিনশটের মাধ্যমে সবার কাছে ছড়িয়ে পড়ে। তারপর রাত নয়টার দিকে হলের মাঠে তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ সময় ৪৮তম ব্যাচের এক শিক্ষার্থী তাকে কল দিয়ে ক্ষমা চাইতে বলে। আমরা ধারণা করছি, এর পেছনে আরো অনেকের হাত আছে। তাই আমরা মুয়াজের কঠোর শাস্তি কামনা করছি যাতে ভবিষ্যতে কেউ এধরনের জঘন্য কাজ করার দুঃসাহস না করে এবং যারা এর সাথে জড়িত এদের ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।