ববিতে প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে কর্মচারীর জুতাপেটার অভিযোগ

ববি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২১:১২
টাকার লেনদেন নিয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলামকে জুতাপেটা করার অভিযোগ উঠেছে মজুরিভিত্তিক কর্মচারী (পাম্প অপারেটর) সৈয়দ মতিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব অফিস কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিয়ে কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি এ ঘটনার বিচার চেয়ে রেজিস্ট্রার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন লাঞ্ছনার শিকার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘কর্মচারী মতিয়ার রহমানের কাছ থেকে সুদের বিনিময়ে আমি সাড়ে চার লাখ টাকা ধার নিয়েছিলাম। সেই টাকা অনেক আগেই শোধ করে দিয়েছি। তার একটি ব্লাঙ্ক চেকও আমার কাছে আছে। তারপরও সে আমার কাছে টাকা দাবি করে আসছে। সেই টাকা আদায়ের জন্য আমাকে সে নিয়মিত হুমকি দিয়ে আসছে।’
শহিদুল বলেন, ‘মতিয়ার এখন আমার কাছে চাঁদা দাবি করছে। এ নিয়ে থানায় আমি সাধারণ ডায়েরিও করেছি। এজন্য আজ (মঙ্গলবার) অফিস চলাকালীন আমার সহকর্মীদের সামনে আমাকে লাঞ্ছিত, আঘাত ও জুতাপেটা করেছে। এ ঘটনায় আমি বিচার চেয়ে রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’
তবে সুদের বিনিময়ে টাকা ধার দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী মতিয়ার রহমান।
তিনি বলেন, ‘প্রশাসনিক কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম তার এক আত্মীয় সিন্ডিকেট সদস্য বলে দাপট দেখিয়ে আমার চাকরি স্থায়ী করার প্রলোভন দেখায়। বিভিন্ন সময় মোট ৩৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা নিয়েছে। টাকাগুলো আমি আমার আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে ধার এনে দিয়েছি। অনেক ঘোরাঘুরির পর আমাকে মাত্র এক লাখ টাকা ফেরত দিয়েছেন শহিদুল ইসলাম। এখন চাকরিও দিচ্ছে না, টাকাও দিচ্ছে না। উল্টো আমাকে হেনস্তা করার জন্য আমার বিরুদ্ধে থানায় জিডি করে পুলিশ দিয়ে হয়রানি করছে। টাকা চাইতে গেলে এ নিয়ে দুজনের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়েছে মাত্র।’
জুতাপেটার ঘটনা নিয়ে অর্থ ও হিসাব দপ্তরের উপ-পরিচালক সুব্রত কুমার বাহাদুর জানান, ঘটনাটি দুঃখজনক। অফিস চলার সময় একজন কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করা কোনভাবেই কাম্য নয়। ভুক্তভোগী বিচার চেয়ে আবেদন দিয়েছে, আমরা সেটি সুপারিশ করে রেজিস্ট্রারকে পাঠিয়ে দিয়েছি। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীর বিচার করা হোক এটাই আমরা চাই।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘জুতাপেটার ঘটনাটি শুনেছি। একটি অভিযোগপত্রও পেয়েছি। উপাচার্যের সাথে এ বিষয় নিয়ে কথা বলে তদন্ত সাপেক্ষে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’