দেশ নানামুখী ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে: ঢাবি উপাচার্য

ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২ মার্চ ২০২৫, ১৯:১৫

‘পতাকা উত্তোলন দিবস’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান। ছবি- সংগৃহীত
দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান বলেছেন, দেশ নানামুখী প্রতিকূলতা ও ষড়যন্ত্রে মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ঐক্য ধরেই রাখা অত্যন্ত জরুরি।
২ মার্চ ঐতিহাসিক ‘পতাকা উত্তোলন দিবস’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে উপাচার্য এ কথা বলেন।
দিবসটির তাৎপর্য তুলে তিনি বলেন, জাতি আজ একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। নানামুখী ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এসময় ঐক্য ধরেই রাখা জরুরি।
দেশ স্বাধীন হওয়ার আগেই প্রথম পতাকা উড়েছিল ১৯৭১ সালের ২ মার্চ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনে ছাত্রদের পক্ষে পতাকাটি উত্তোলন করেছিল ডাকসুর তৎকালীন ভিপি আ স ম আবদুর রব। সাবেক এই ছাত্রনেতা শারীরিক অসুস্থতার কারণে অনুষ্ঠানে আসতে পারেননি।
আ স ম আব্দুর রবের জাতীয় পতাকা উত্তোলন, স্বাধীনতা সংগ্রামে অবদান এবং পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতিতে তার ভূমিকার কথা তুলে বলেন, যারা ইতিহাস নির্মাণ করেন, তারা রাজনীতির ঊর্ধ্বে। এসব বিষয়ে রাজনৈতিক পরিচয় দেখতে চাই না।
২ মার্চ ছাত্রলীগের একটি দল একটি 'জয় বাংলা' স্লোগান দিতে দিতে জহুরুল হক হল থেকে বটতলার জনসমুদ্রের দিকে আসতে থাকে। স্লোগানে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসহ পুরো এলাকা কাঁপছিল এবং অসংখ্য মানুষের মধ্য দিয়ে স্লোগান দিতে দিতে পতাকাসহ ছাত্ররা কলাভবনের সামনে এসে দাঁড়িয়েছিল। সেখান থেকেই পতাকাটি হাতে নিয়ে ছাত্রনেতাদের সঙ্গে নিয়ে পতাকা ওড়ান আ স ম আব্দুর রব। পতাকা ওড়াতে আ স ম আব্দুর রব ছাড়াও ডাকসুর তৎকালীন জি এস আব্দুল কুদ্দুস মাখন, ছাত্রলীগ সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান সিরাজ সঙ্গে ছিলেন।
আন্দোলন সংগ্রামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকার কথা তুলে উপাচার্য বলেন, জাতির প্রয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সবসময় পাশে দাঁড়িয়েছে। জাতীয় পরিচয় নির্ধারণে যে কয়টি ঘটনা ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ, তার মধ্যে ২ মার্চ পতাকা উত্তোলন দিবস অন্যতম।
উপ উপাচার্য সায়মা হক বিদিশা বলেন, জাতীয় পতাকা আমাদের ঐক্যের জায়গা। এটি আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে সাহায্য করে। সব ধরনের আন্দোলনে বাংলাদেশের মানুষ জাতীয় পতাকাকে সামনে নিয়ে একতাবদ্ধ হয়।
অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে জাতীয় সংগীত, দেশের গান ও নৃত্য পরিবেশিত হয়। এসময় শিক্ষক শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।