ছয় দফা দাবিতে চলমান আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে কারিগরি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর সচিবালয়ে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (কারিগরি অনুবিভাগ) রেহানা ইয়াছমিনের নেতৃত্বে এই বৈঠক শুরু হয়।

বৈঠকে অংশ নিয়েছে ‘কারিগরি ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ’-এর ১৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।

কারিগরি শিক্ষার্থীদের দাবির মধ্যে রয়েছে—অবৈধভাবে পদোন্নতি পাওয়া জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টরদের হাইকোর্টের রায় বাতিল, বিতর্কিত নিয়োগপ্রক্রিয়া সংশোধন, ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে মানসম্পন্ন কারিকুলাম বাস্তবায়ন ও ইংরেজি মাধ্যমে একাডেমিক কার্যক্রম চালুর দাবি। এছাড়া উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদের জন্য ডিপ্লোমা পাস শিক্ষার্থীদের বরাদ্দ নিশ্চিতকরণ, কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কারিগরি ব্যাকগ্রাউন্ড ছাড়া অন্য পেশাজীবীদের নিয়োগ বন্ধ, স্বতন্ত্র ‘কারিগরি ও উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয়’ গঠন এবং টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের বিষয়টিও দাবি হিসেবে উত্থাপিত হয়েছে।

বুধবার সকাল ১০টার দিকে কারিগরি শিক্ষার্থীরা এই ৬ দফা দাবি আদায়ে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সাতরাস্তা মোড়ে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। ঢাকার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে সারাদেশে জেলায় জেলায় সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা।

বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শোয়াইব আহমাদ খান।

তিনি কারিগরি শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেন, তাদের যৌক্তিক দাবি বিবেচনায় নেওয়া হবে এবং পদোন্নতিতে বিতর্কিত ‘ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের’ জন্য কোনো কোটা রাখা হবে না।

তবে ডিজির আশ্বাসের পরও শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করেননি। তারা দাবি করেন, সরকারের পক্ষ থেকে দাবি পূরণে গৃহীত পদক্ষেপ লিখিতভাবে জানাতে হবে এবং তা বাস্তবায়নের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা উল্লেখ করে লিখিত প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।

বৃহস্পতিবার দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রেলপথ অবরোধের কর্মসূচি ঘোষণা দেন কারিগরি শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে ঘোষণা আসে অসহযোগ আন্দোলনের। তবে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের আশ্বাস ও আলোচনার প্রস্তাবে কর্মসূচি সাময়িক শিথিল করে তারা বৈঠকে অংশ নিয়েছে বলে জানা গেছে।