কুয়েটের ৩৭ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার

খুলনা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ২০:৪৬

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি- খুলনা প্রতিনিধি
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ৩৭ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়েছে। পাশাপাশি কুয়েটের সাতটি হল প্রশাসনিকভাবে খুলে দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও আগে থেকেই এই সাতটি হলের তালা ভেঙে শিক্ষার্থীরা প্রবেশ করেছিলেন।
বুধবার দুপুরে ১০২তম (জরুরি) সিন্ডিকেট সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছেন কুয়েটের জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা ডিভিশনের পাবলিক রিলেশনস অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) শাহেদুজ্জামান শেখ।
তিনি বলেন, “ইতোপূর্বে যে ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছিল সিন্ডিকেটের ১০১তম (জরুরি) সভায় তা প্রত্যাহার করা হয়। আর আবাসিক হলসমূহ ২ মে’র পরিবর্তে মঙ্গলবার খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তবে একাডেমিক কার্যক্রম পূর্ব ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ি ৪ মে থেকে চালু হবে।”
সিন্ডিকেটের অন্যান্য সিদ্ধান্তের ব্যাপারে তিনি বলেন, সেখান থেকে শিক্ষার্থীদের অনশন ভঙ্গের জন্য আহবান জানানো হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় শতাধিক ব্যক্তি আহত হন। পরদিন প্রশাসনিক ভবনসহ সব একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা।
ওই দিন দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় কুয়েটে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তে কমিটিও করা হয়। ওই দিন রাতেই খানজাহান আলী থানায় অজ্ঞাতনামা ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করে মামলা করে প্রশাসন।
২৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের ৯৯তম (জরুরি) সভায় সব আবাসিক হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করা হয়।
এদিকে ওই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে গত ১৫ এপ্রিল ৩৭ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০১তম সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় কর্মসূচি পালন শুরুর পর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত এল।