বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র পারভেজ হত্যা: এজাহারভুক্ত আরও একজন গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ২১:৩৩

গ্রেপ্তার মাহাথির হাসান। ছবি- সংগৃহীত
রাজধানীর বনানীতে প্রাইম এশিয়া ইউনিভারসিটির শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত আরও এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার মাহাথির হাসান মামলার তিন নম্বর আসামি। মাহাথিরকে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে এ মামলায় গ্রেপ্তারের সংখ্যা দাঁড়াল ছয়জনে। এরমধ্যে পুলিশের চারজন এবং র্যাব দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
বুধবার সকালে চট্টগ্রামের হালিশহরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে বনানী থানা পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, চট্টগ্রামের হালিশহর থানাধীন আজাদ টাওয়ারের একটি বাসা থেকে স্থানীয় থানার সহযোগিতায় মাহাথিরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিএমপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মাহাথির হাসানকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানানো হয়েছে।
এ মামলায় রবিবার মধ্যরাতে বনানী থানা পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। তারা হলেন- মো. আল কামাল শেখ ওরফে কামাল, আলভী হোসেন জুনায়েদ ও আল আমিন সানি। তবে তারা কেউ ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নন, মামলার এজাহারেও তাদের নাম নেই।
সোমবার রাতে কুমিল্লার তিতাস এলাকায় মামার বাড়ি থেকে মামলার এজাহারভুক্ত আসামি হৃদয় মিয়াজীকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। হৃদয় মিয়াজী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বনানী থানা ইউনিটের যুগ্ম সদস্য সচিব। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বনানী থানার যুগ্ম আহ্বায়ক সোবহান নিয়াজ তুষারও এই হত্যা মামলার আসামি।
এদিকে পারভেজ হত্যা মামলার এক নম্বর আসামি মেহরাজ ইসলামকে বুধবার গাইবান্ধা থেকে গ্রেপ্তারের তথ্য দিয়েছে র্যাব। সব মিলিয়ে এই মামলায় ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
গত ২০ এপ্রিল বিকেল ৪টার পর প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের কিছু শিক্ষার্থীর মধ্যে বিবাদের জেরে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২২৩ ব্যাচের ছাত্র জাহিদুল ইসলাম পারভেজকে ছুরি মেরে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ২০ এপ্রিল রাতেই বনানী থানায় মামলা করেন নিহতের মামাতো ভাই হুমায়ুন কবীর।
নিহত পারভেজকে নিজেদের কর্মী দাবি করে রবিবার সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল এ হত্যাকাণ্ডের জন্য ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বনানী শাখার পাঁচ নেতাসহ বাহিরাগত গ্যাংয়ের সদস্যদের’ দায়ী করে।
তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ছাত্রদলের এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, এই ঘটনায় তাদের নেতারা জড়িত নন। ছাত্রদল মিথ্যাচার করছে।