
সরকারি প্রণোদনা পেতে যাচ্ছেন নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষক-কর্মচারীরা। এজন্য এসব প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষক-কর্মচারীদের মোবাইল ব্যাংকিংয়ের নম্বর চাওয়া হয়েছিলো বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এ ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোমিনুর রশিদ সাম্প্রতিক দেশকালকে জানান, ‘নন-এমপিও শিক্ষকদের প্রণোদনা দিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমরা প্রস্তাব পাঠিয়েছি।’
এদিকে নন-এমপিও শিক্ষক কর্মচারীদের জন্য প্রণোদনা চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াজোঁ ফোরামের মুখপাত্র মো. নজরুল ইসলাম রনি এবং বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির মহাসচিব মো. মেজবাহুল ইসলাম প্রিন্স।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অধীন নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক, স্কুল অ্যান্ড কলেজ, উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ এবং ডিগ্রি কলেজ) তালিকা ও শিক্ষক-কর্মচারীদের নাম একটি নির্ধারিত ছকে চাওয়া হয়। এতে প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষক-কর্মচারীদের নাম স্থানীয় প্রশাসনের তত্ত্বাবধান এবং জেলা শিক্ষা অফিসার/উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার/থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে যাচাই করে সংযুক্ত ছক মোতাবেক তথ্যাদি আগামী ২৮ মে-র মধ্যে পাঠাতে বলা হয়েছিলো। ছকে শিক্ষক-কর্মচারীদের মোবাইল ব্যাংকিংয়ের নম্বরও চাওয়া হয়।
ছকে তাদের মোবাইল ব্যাংকিংয়ের নম্বর চাওয়ার কারণ জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোমিনুর রশিদ আমিন বলেন, ‘নন-এমপিও শিক্ষকদের প্রণোদনা দিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমরা প্রস্তাব পাঠিয়েছি। শিক্ষক কর্মচারীদের তালিকা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘প্রণোদনা দেয়ার বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি, তবে আমরা আশাবাদী নন এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের কিছু হলেও প্রণোদনা দেয়া হতে পারে বলে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পেলে এ বাবদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হবে।’