
অমিত সাহা
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক উপ-সম্পাদক অমিত সাহাকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগ।
আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের প্রধান সন্দেহভাজন হওয়া সত্ত্বেও হত্যাকাণ্ডে জড়িত ১৯ জনের তালিকায় তার নাম না থাকা নিয়ে চলছিল ব্যাপক সমালোচনা।
অমিত বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ১৬তম ব্যাচের ছাত্র। তিনি বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক উপসম্পাদক। আবরার হত্যার এজাহারে অমিত সাহার নাম না থাকলেও তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিএমপি নিউজ।
রাজধানীর সবুজবাগ থেকে আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে নিশ্চিত করেন ডিবির যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম।
তিনি বলেন, রাজধানীর সবুজবাগ থানাধীন রাজারবাগ কালীবাড়ি এলাকায় এক আত্মীয়ের বাসা থেকে অমিতকে আটক করা হয়। তাকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হচ্ছে। রিমান্ড চেয়ে তাকে আদালতে তোলা হবে।
ফাহাদকে যে কক্ষে খুন করা হয় সেই ২০১১ কক্ষের বাসিন্দা অমিত। হত্যাকাণ্ডের আগে ১৭ ব্যাচের (ফাহাদের সহপাঠী) এক শিক্ষার্থীকে অমিত সাহা মেসেঞ্জারে জিজ্ঞেস করেন, আবরার ফাহাদ কি হলে আছে?
এ ধরনের একটি স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ১৭ ব্যাচের ওই শিক্ষার্থী নিজের পরিচয় প্রকাশ করতে না চাওয়ায় তারই এক সিনিয়র এ বিষয়টি ফেসবুকে প্রকাশ করেন।
আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডে এখন পর্যন্ত মামলায় নাম থাকা ১৯ জনের মধ্যে ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে হত্যাকাণ্ডের পর সবচেয়ে আলোচিত নাম ছিল অমিত সাহা। কিন্তু কোনো এক অজ্ঞাত কারণে মামলায় তার নাম রাখা হয়নি। এরপর অমিতের নানান কুকীর্তি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সরব হয়ে ওঠে। ফাহাদ হত্যাকাণ্ডে যে তার সম্পৃক্ততা রয়েছে তার প্রমাণ মেলে মেসেঞ্জার অ্যাক্টিভিটিতে।
এদিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ছিল, অমিত সাহা আবরার হত্যাকাণ্ডে জড়িত। দীর্ঘদিন ধরেই র্যাগিংয়ের নামে এই ছাত্রলীগ নেতা সাধারণ শিক্ষার্থীদের নির্যাতন করে আসছেন। ডিএমপির এক ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার ঘনিষ্ঠজন হওয়ায় তাকে কৌশলে এই মামলার এজাহার থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।