
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে (কভিড-১৯) ক্ষতিগ্রস্ত অবসরপ্রাপ্ত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের দুর্দশার কথা বিবেচনা করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেবা প্রদান করে যাচ্ছে বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট।
এর মাধ্যমে সারা দেশের ৮০৫ জন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারী পেয়েছেন ৩৩ কোটি ৫ লাখ ৩৪ হাজার ১২৫ টাকা। আজ রবিবার (২৬ জুলাই) এ অর্থ ছাড় করা হয়।
কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যোগে করোনার ভয়াবহতার মধ্যেও প্রায় দুই হাজার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কর্মচারী অনলাইন ব্যাংকিং এর মাধ্যমে তাদের বাড়িতে বসেই কল্যাণ সুবিধার টাকা পেয়েছেন।
গত ঈদুল ফিতরের পূর্বে করোনারভাইরাসের চরম আতংকের মধ্যেও শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের কর্মকর্তা কর্মচারীরা সব রকম ঝুঁকিকে উপেক্ষা করে ১ হাজার ৫৭ জন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কর্মচারীকে ৩৯ কোটি ৬৬ লাখ ১৭ হাজার ৪০৮ টাকা তাদের ব্যাংক হিসাবে পৌঁছে দেন। এবার ঈদুল আজহার পূর্বেও ৮০২ জন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারীকে ৩৩ কোটি ৫ লাখ ৩৪ হাজার ১২৫ টাকা পৌঁছে দেওয়াসহ করোনা মহামারির মধ্যে কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে মোট ৭২ কোটি ৭১ লাখ ৫১ হাজার ৫৩৩ কোটি টাকা ছাড় করা হয়েছে।
শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম সাজু নিজে এ ব্যাপারে সার্বক্ষণিক তদারকি করেন।
এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম সাজু বলেন, করোনার এই মহাদুর্যোগের কথা বিবেচনা করে শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কর্মচারীদের দুর্দশা লাঘবে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, ‘জাতির এই দুঃসময়ে শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সর্বোচ্চ আন্তরিকতা দিয়ে তাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই সেবা প্রদান করেছেন। এ ব্যাপারে উৎসাহ জুগিয়েছেন স্বয়ং শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি এমপি।’ শিক্ষামন্ত্রী নিজে ফোন করে তাদের খোঁজ খবর নিয়েছেন এবং পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানান অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম সাজু।
এছাড়াও শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ ব্যাপারে উৎসাহিত করেছেন বলে জানিয়েছেন অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু। করোনাকালীন সময়ে যাদের টাকা ছাড় করা হয়েছে এর মধ্যে ২০১৮ সালের মে এবং জুন মাসের নিয়মিত আবেদন ছাড়াও মৃত, অসুস্থ, মুক্তিযোদ্ধাসহ পরিপূরক বিশেষ আবেদন রয়েছে। ইতোমধ্যেই উল্লেখিত অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কর্মচারীদের কল্যাণ সুবিধার টাকা বিএফটিএনের মাধ্যমে যার যার ব্যাংক হিসাবে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে বলে জানান কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব।