করোনাভাইরাস মহামারি সংক্রমণের কারণে আগামী নভেম্বর মাসেও যদি প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা না যায়, তাহলে বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না। 

এর ফলে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন ছাড়াই পরবর্তী ক্লাসে তুলে দেয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না বলে জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব আকরাম-আল-হোসেন।

আজ রবিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।

সচিব বলেন, অক্টোবর বা নভেম্বরে যদি স্কুল খোলা যায়, তাহলে আলাদা দুটি পরিকল্পনা করা আছে। যদি স্কুল খোলা যায়, তবে মূল্যায়নের বিষয়ে একটা ব্যবস্থা নিতে পারব। আর না হলে তো আপনারা বোঝেন।

তিনি বলেন, করোনার কারণে কবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব হবে তা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তবে অক্টোবর ও নভেম্বরে স্কুল খোলা যেতে পারে সেই প্রস্তুতি নিয়ে দুইটি সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরি ও তা চূড়ান্ত করা হয়েছে। যে মাসে স্কুল খোলা যাবে সেই সিলেবাস পড়িয়ে ক্লাস মূল্যায়নের মাধ্যমে পরবর্তী ক্লাসে শিক্ষার্থীদের উন্নীত করা হবে। স্কুল খোলা না গেলে পরীক্ষা ও মূল্যায়ন করা সম্ভব হবে না। তখন অটো পাস ছাড়া উপায় থাকবে না। তবে পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

নভেম্বরেও স্কুল খোলা না গেলে এবার বার্ষিক পরীক্ষা হবে না জানিয়ে গণশিক্ষা সচিব আরো বলেন, স্কুল না খোলা গেলে আমরা কী মূল্যায়ন করব? স্কুল খোলা না গেলে কোনো মূল্যায়ন হবে না।

এসময় তিনি নিজের শৈশবে স্বাধীনতা যুদ্ধের বছরের কথা স্মরণ করে বলেন, একাত্তর সালে আমি ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ি। তখন বই পেতে মার্চ মাস হয়ে যেত। মার্চে বঙ্গবন্ধু তার ভাষণে স্কুল, কলেজ, আদালত সব বন্ধ করে দিলেন। মার্চ থেকে তো বই নেই। আমরা ১৯৭২ সালের জানুয়ারি মাসে স্কুলে গিয়েছি, সেভেনে আমাদের উঠিয়ে দিয়েছে, সমস্যা নেই।

করোনার কারণে শিক্ষার্থীদের ঝড়ে পড়া রোধ করতে নানা ধরনের পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে বলেন, আমরা ঝড়ে পড়া রোধ করতে নানা ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছি। করোনার মধ্যে অনেক কিন্টারগার্টেন স্কুল বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তাই সেসব স্কুলের আশেপাশে যেসব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকবে সেসব স্কুলে ভর্তি করাতে আমরা নির্দেশনা দিয়েছি। যে যেখানে ভর্তি হতে চাইবে তাকে সেখানে ভর্তি করার কথা বলা হয়েছে।

করোনার সংক্রমণের কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। সেই ছুটি অন্তত ৩ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে।