করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ ৫ মাস হলো সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। শিক্ষার্থীরা অনিশ্চিত অবস্থায় গৃহবন্দী হয়ে ক্লাসে যাওয়ার জন্য মুখিয়ে আছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।

‘আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস- ২০২০’ উদযাপন উপলক্ষে রাজধানীর উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো সম্মেলন কক্ষে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

মো. জাকির হোসেন বলেন, বর্তমানে দেশে সাক্ষরতার হার শতকরা ৭৪ দশমিক ৭ ভাগে উন্নীত হয়েছে যা ২০০৫ সালে তৎকালীন বিএনপি-জামাত জোট সরকারের সময় ছিলো মাত্র ৫৩ দশমিক ৫ ভাগ।

গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের নিরলস প্রচেষ্টায় ‘সবার জন্য শিক্ষা’ এবং ‘সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাসমূহ’ সাফল্যজনকভাবে অর্জনের জন্য ২০১৪ সালে ইউনেস্কো বাংলাদেশকে ‘শান্তি বৃক্ষ’ পদক প্রদান করে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিক্ষাই জাতির সার্বিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির চাবিকাঠি এবং দক্ষ মানব-সম্পদ ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভিত্তি। স্বাধীনতাপূর্ব শিক্ষাব্যবস্থা ছিলো বৈষম্যমূলক, সনাতনধর্মী, গতানুগতিক ও অর্ধশিক্ষায় শিক্ষিত মেরুদণ্ডহীন মানুষ তৈরির পরিকল্পনা।

তিনি বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রাথমিক শিক্ষাকে যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে ১৯৭৩ সালে ৩৬ হাজার ১৬৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ এবং ১ লাখ ৫৭ হাজার ৭২৪ জন শিক্ষককে সরকারিকরণের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষার অগ্রগতির সোপান রচনা করেন। তারই ধারাবাহিকতায় প্রাথমিক শিক্ষাকে আরো গতিশীল করার লক্ষ্যে ২০১৩ সালে তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করেন।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেনের সভাপতিত্বে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক তপন কুমার ঘোষসহ বিভিন্ন সহযোগী দাতা সংস্থা ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ।