Logo
×

Follow Us

শিক্ষা

কওমি শিক্ষার্থীদের কি জীবন নেই?

Icon

কে এম ওবায়দুল্লাহ

প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৮:৫৭

কওমি শিক্ষার্থীদের কি জীবন নেই?

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রকোপে একরকম স্থবির হয়ে আছে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট কোটি কোটি মানুষের জীবন রক্ষায় তা খোলার চিন্তাও পরাহত। মুক্তিযুদ্ধের পর এমন টানা বন্ধের ঘটনা এই প্রথম। 

ক্ষতিগ্রস্ত সব শিক্ষা স্তর, স্বাভাবিক ক্লাস, এইচএসসি পরীক্ষা, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি- সবই অনিশ্চিত। একাডেমিক ক্যালেন্ডার থেকে একটি বছর হারিয়ে যাবে কিনা, তা নিয়েও চলছে জল্পনা। মূলত মারণঘাতী ভাইরাসটির নিয়ন্ত্রণহীনতার কারণে গত ১৭ থেকে ৩১ মার্চ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরই মধ্যে তিন দফায় বাড়ানো হয় ছুটি। লম্বা এই সময়ে ঘরবন্দি শিক্ষার্থীদের দুরন্তপনায় অস্থির অভিভাবকরা। অবশ্য ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে কম-বেশি অনলাইনে ক্লাস চললেও সংকটের সমাধান নেই। 

এর মধ্যেই গত ২৭ আগস্ট এক ঘোষণায় কওমি মাদ্রাসা খুলে দিয়ে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের মেয়াদ ৩ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। তবে সরকারের এই দ্বৈতনীতিতে সৃষ্টি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। অনেকেই প্রশ্ন ছুড়েছেন- যেখানে মহামারির কারণে চলতি বছর প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনী এবং জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা বাতিল হয়েছে, সেখানে কওমি মাদ্রাসা খুলে দেয়া হলো কোন যুক্তিতে? এসব প্রতিষ্ঠানে যারা পড়ে, তাদের জীবনের কি কোনো মূল্য নেই?

করোনাভাইরাসের কারণে শিক্ষার সংকট এখন পৃথিবীজুড়েই। প্রথম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয় ভাইরাসটির আঁতুড়ঘর চীন, জানুয়ারির শেষের দিকে। এর মধ্যে দেশে ১ এপ্রিল থেকে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও সেই সূচি স্থগিত করতে বাধ্য হয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আবার কোনো মতে এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ করা গেলেও উত্তীর্ণদের কবে কলেজে ভর্তি করা যাবে, তাও বলা যাচ্ছে না।

স্বার্থের বেড়াজাল

শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার ক্ষতি হচ্ছে- এমন যুক্তিতে দ্রুত মাদ্রাসা খোলার দাবি জানিয়ে আসছিলেন আলেমদের অনেকেই। তাদের একটি অংশ ঈদুল আজহার আগেই তা খোলার তৎপরতা চালান। সেই দাবির মুখে গত ১২ জুলাই থেকে কেবল হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও হিফজখানা চালুর অনুমতি দেয়া হয়।

সেই সুযোগটাই নেয় বেশকিছু কওমি মাদ্রাসা। এর পেছনে ছিল বড় একটি স্বার্থ, প্রতিষ্ঠানের ফান্ড সংগ্রহের জন্য ঈদের দিন চামড়া সংগ্রহ। কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় তারা সবাই বাড়িতেই ছিল। এর মধ্যে কোরবানি ঈদের দু’চার দিন আগে ফোন করে তাদের ডাকা হয় চামড়া সংগ্রহ করা হবে বলে। নির্দেশ অমান্য করলে আর কম খরচে থাকা-খাওয়ার সুযোগ থাকবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেয় কর্তৃপক্ষ। তাই বাধ্য হয়েই দরিদ্র শিক্ষার্থীরা মাদ্রাসায় আসে ও মহামারির মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই ঈদের দিন সকাল থেকে নেমে পড়ে চামড়া সংগ্রহ করতে।

স্বাস্থ্যবিধি দুধ-ভাত

জাতীয় দীনি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের প্রতিনিধিরা গত মাসের মাঝামাঝিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবের সাথে সাক্ষাৎ করে কিতাব বিভাগ খোলার দাবি জানান। এর এক সপ্তাহ পরই ছয় শর্তে অনুমতি দেয় সরকার। সেগুলো হলো- প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস, মাথায় নিরাপত্তা টুপি পরা আবশ্যক। মাদ্রাসায় প্রবেশের পূর্বে গেটে স্যানিটাইজিং করতে হবে। শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ কক্ষে অবস্থান করবে, বিক্ষিপ্তভাবে চলাফেরা করা যাবে না। একজন শিক্ষার্থী অন্যজনের থেকে কমপক্ষে তিন ফুট দূরত্বে অবস্থান করবে। করোনাভাইরাসের কারণে কোলাকুলি ও হাত মেলানো যাবে না। শিক্ষক-কর্মচারীরাও একইভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে ক্লাস করাবেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাদ্রাসা খোলার শুরুতে কয়েক দিন সামান্য স্বাস্থ্যবিধি মানলেও এখন তার বালাই নেই। বেশিরভাগ শিক্ষার্থী ও আলেম মুখে মাস্ক পর্যন্ত পরেন না। 

এ নিয়ে কথা বলতে চাইলে রাজধানীর লালবাগ জামিয়া কোরআনিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসার এক শিক্ষক উল্টো প্রশ্ন করেন, ‘মাদ্রাসাগুলোতে যেখানে ছাত্রদের বসার ও থাকার জায়গারই অভাব, সেখানে কীভাবে তিন ফুট দূরত্ব মানা সম্ভব?’ 

তিনি আরো বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানের অর্থে শিক্ষার্থীদের জন্য স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করা, মাস্ক দেয়া তো সম্ভব না। কারণ মাদ্রাসাগুলোর অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই খারাপ, সাহায্য-সহযোগিতায় কোনোরকমে চলতে হয়।’ 

এ পরিস্থিতিতে কওমি শিক্ষা বোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের (বেফাক) মাধ্যমে সরকার কিছু টাকা দিলেও অনেকেই তা পায়নি। তবে বেফাক মহাপরিচালক মাওলানা যোবায়ের আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘সারাদেশের প্রায় সাড়ে চার হাজার মাদ্রাসায় সরকারের দেওয়া পাঁচ কোটি টাকা বণ্টন করেছি। কর্তৃপক্ষ টাকা পেয়েই নির্দিষ্ট ফরমে স্বাক্ষর করেছে। পুরো বিষয়টি দেখভাল করেছে আমাদের কেন্দ্রীয় মনিটারিং টিম।’

করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে মাদ্রাসা খোলা প্রসঙ্গে মাওলানা যোবায়ের বলেন, ‘আমাদের বছর হিসাব করা হয় আরবি মাস ধরে। রমজান থেকে শুরু হয়ে পরবর্তী বছরের শাওয়াল মাস পর্যন্ত একটি শিক্ষাবর্ষ। আর শাবান মাসে সাধারণত বার্ষিক পরীক্ষা হয়। ফলাফল প্রকাশ হয় রমজানে; কিন্তু এ বছর সেটি হয়নি বলে পুরো সিস্টেমে একটা জট পাকিয়ে গেছে।’ 

তিনি আরো বলেন, ‘একটি ছেলে হেফজ শেষ করে মাওলানা লাইনে পড়ার জন্য ভর্তি হয়। করোনাভাইরাসের কারণে এবার তারা পিছিয়ে পড়ছে। এ নিয়ে আমরা বার বার আলোচনা করায় সরকার পরীক্ষার অনুমতি দিয়েছে। আর ক্লাস করার ক্ষেত্রে বেশ কিছু নীতিমালা রয়েছে, যা মানার জন্য মাদ্রাসা শিক্ষকদের নির্দেশনা দিয়ে রেখেছি। আমরা আপাতত শিক্ষার্থীদের বাইরে বের হতে নিরুৎসাহিত করছি। তারপরেও যদি কেউ বাইরে যায়, মাদ্রাসায় প্রবেশের সময় তাদের স্যানিটাইজার ব্যবহারসহ হাত পরিষ্কার করতে ও মাস্ক পরতে বলে দেয়া হয়েছে। এরপরও যদি কেউ নিয়ম না মানে, তবে প্রশাসন যে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে তাদের বিরুদ্ধে। নিয়ম না মেনে কেউ যেন শিক্ষার্থীদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলে না দেন।’

ভ্রান্ত ধারণা

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে শুরু থেকেই মুসলমানদের সবচেয়ে পবিত্র স্থান মক্কা-মদিনায় জারি করা হয় কারফিউ। সীমিত হয় হজসহ সব ধরনের ইবাদত। অথচ আমাদের দেশের কওমিপন্থী আলেমদের একাংশ মহামারির আগে থেকেই ওয়াজ মাহফিল, জুমার বয়ানসহ নানা জায়গায় বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিয়ে গেছেন। 

‘মুসলমানদের কিছুই করতে পারবে না করোনা’, ‘মুসলমানের এই দেশে করোনাভাইরাস আসবে না’, ‘ছোঁয়াচে রোগ বলে কিছু নেই’, ‘মাস্ক পরার প্রয়োজন নেই’- এমন বক্তব্যও দিয়েছেন তাদের কেউ কেউ। ভাইরাসটি দেশে ছড়িয়ে পড়ার পর দেখা গেল তাদেরই অনেকে আক্রান্ত হয়েছেন। এমনকি মৃত্যুবরণও করেছেন বিভিন্ন মসজিদের কয়েকজন ইমাম। 

এর অন্যতম কারণ স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে উদাসীনতা, মাস্ক ব্যবহার কিংবা শারীরিক দূরত্ব মানায় অনীহা। এ বিষয়ে জাতীয় দীনি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের সহসভাপতি মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ বলেন, ‘কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা অজু করেন; আল্লাহর কোরআন, নামাজ, তেলওয়াতের মধ্যে থাকেন। তাদের প্রতি নিশ্চয়ই আল্লাহর বিশেষ রহমত আছে, তাই খারাপ কিছু হতে পারে না।’ 

এমন যুক্তি দিয়ে এই আলেম আরো বলেন, ‘হেফজ বিভাগ আরো আগেই খোলা হয়েছে। কই, করোনাভাইরাসে তো ওইসব মাদ্রাসায় কোনো আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়নি। ফলে এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।’

নিজেরাই শ্রেষ্ঠ!

কওমি মাদ্রাসা হচ্ছে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়, সঠিক মানুষ গড়ার কারখানা, জান্নাতের বাগিচা- এমন প্রচার নতুন নয়। কওমিপন্থীদের মতে, দেশের সাধারণ কিংবা পশ্চিমা শিক্ষা ছাত্র-ছাত্রীদের পথভ্রষ্ট করে। এমনকি আলিয়া মাদ্রাসাকেও সমর্থন করেন না তারা। সারাদেশে সাধারণ মানুষের অনুদান ও সহযোগিতায় পরিচালিত হয় অন্তত ৩৩ হাজার কওমি ধারার মাদ্রাসা ও হেফজখানা। প্রতি বছর এক লাখেরও বেশি শিশু স্বাক্ষরজ্ঞান নিশ্চিত করছে সেখান থেকে। 

তবে আলেমরাই বলছেন, কওমি মাদ্রাসার পরিচালনা ব্যবস্থা ও শিক্ষাদানে এখনো সেই ঐতিহাসিক পদ্ধতিকেই বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়। অথচ পবিত্র কোরআনে কিছু আয়াত আছে, যা বৈজ্ঞানিকভাবে ব্যাখ্যা করতে হয়। কিছু আয়াতের ব্যাখ্যার জন্য দরকার হয় গণিতের জ্ঞানও। অনেক আয়াতে প্রকৃতিজগৎ নিয়ে চিন্তা ও গবেষণার কথাও বলা হয়েছে। যেখানে কওমি মাদ্রাসাগুলোতে এ বিষয়ে গবেষণা করার মতো কোনো ব্যবস্থাই নেই। তাই এ শিক্ষাব্যবস্থা ইসলামকে ব্যাখ্যা করার জন্যও স্বয়ংসম্পূর্ণ নয় বলে মনে করেন অনেক শিক্ষাবিদ। 

অন্যদিকে, একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়ার, পদার্থবিদ, রসায়নবিদ, গণিতজ্ঞ, প্রযুক্তিবিদ, গবেষক, আইনজ্ঞ, অর্থনীতিবিদ, সমাজবিজ্ঞানীর পাশাপাশি তৈরি হন ইসলামিক বিশেষজ্ঞও। সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখা এ মানুষগুলোর অনেকেরই আবার ইসলামের বিষয়েও রয়েছে বিশাল জ্ঞান।

একজন কওমি মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে যদি প্রশ্ন করা হয়, বৃষ্টি কেমন করে হয়? তার কাছ থেকে এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আসবে না। কেননা, কোনো জাতি যদি অঙ্ক-বিজ্ঞান না শেখে তবে তাকে পড়ে পড়ে মার খেতেই হবে। আবার আরবি, উর্দু ও ফার্সির মাধ্যমে ইসলামিক শিক্ষা গ্রহণ করলেও ওই শিক্ষার্থীরা ইসলাম সম্পর্কে কতটুকু জানতে পারে, সে নিয়েও রয়েছে যথেষ্ট সন্দেহ। 

অন্যদিকে খ্রিস্টান মিশনারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ধর্মীয় বিষয়ের পাশাপাশি আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে অনেকটাই নেতৃত্ব দিচ্ছে।

শিক্ষাবিদ রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, ‘দেশে মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার দুটি প্রধান ধারা- আলিয়া ও কওমি। এর মধ্যে আলিয়ার শিক্ষা ব্যবস্থা সরকারি ও সরকারের নিয়ন্ত্রণেই আছে। তাই আধুনিক শিক্ষার সাথে মিলিয়েই এর কোর্স বা কারিকুলাম তৈরি হয়। কিন্তু কওমির ওপর সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। এর কারিকুলাম তৈরি হয় নিজেদের মতো করেই। অথচ সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে বা মনিটরিংয়ের বাইরে তো একটি শিক্ষাব্যবস্থা চলতে পারে না। তারা কী পড়ায়, সেটার মান কেমন- তা নিয়ে কোনো গবেষণা না করে কওমি শিক্ষাকে স্বীকৃতি দেয়াটা ঠিক হয়নি।’  

মাদ্রাসা শিক্ষার সাথে সংশ্লিষ্টরা জানান, আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষায়ও শিক্ষিত হয়। কেননা এই শিক্ষা ব্যবস্থাকে আধুনিক শিক্ষার সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে। এখান থেকে পাস করে চিকিৎসা, প্রকৌশল ও সামাজিক বিজ্ঞানসহ সব ধরনের বিষয়ে পড়ার সুযোগ আছে। 

তবে বেফাকের সহকারী মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক বলেন, ‘আমাদের টার্গেট দক্ষ আলেম তৈরি করা, ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার বানানো আমাদের কাজ নয়।’

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫