
খাদিজা খাতুন।
গ্রামের হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান খাদিজা খাতুন। ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে রংপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি সুযোগ পেলেও বাবা-মা-ভাইসহ নিজের কপালে পড়েছে দুচিন্তার ছাপ অর্থাভাবে ভর্তির সুযোগ না থাকার চিন্তায়।
রংপুর মেডিক্যাল কলেজে খাদিজা বেগমের মেধা তালিকার ক্রমিক নম্বর ১৭৮১। খাদিজার বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার চককীর্তি ইউনিয়নের রানীবাড়ী।
দিনমজুর পিতা জালাল উদ্দিন ও মা জোসনা বেগম খাদিজার লেখাপড়ার খরচ যোগানোর চিন্তায় আগের চেয়ে বেশী বেকায়দা ও দুচিন্তায় পড়েছেন বলে মনে করছেন তার বিদ্যালয়ের শিক্ষক, সহপাঠিরাসহ এলাকাবাসী।
বাবা জালাল উদ্দিনের কোনো জায়গা জমি নেই। খাস জমিতে বাঁশের বেড়া দিয়ে তৈরি বাড়িতে রয়েছে ক'খানা ঘর। বাবা পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। সাতজনের এ পরিবারের অবস্থা নুন আনতে পান্তা ফুরায়। খাদিজা খাতুন ছোটবেলা থেকেই অত্যন্ত মেধাবী। তিনি পিএসসি পরীক্ষাসহ সকল পাবলিক পরীক্ষায় গ্রেড জিপিএ পেয়েছেন। রানীবাড়ি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসিতে জিপিএ গোল্ডেন এ প্লাস ও রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ গোল্ডেন এ পেয়ে উত্তীর্ণ হন খাদিজা।
খাদিজার ভাই আনোয়ার হোসেন জানান, আমি প্রাইভেট পড়িয়ে নিজে এ পর্যন্ত রাজশাহী কলেজে ফিসারিজ বিভাগে মাস্টার্সে পরীক্ষা দিয়েছি এবং বাবার দেওয়া টাকা ও নিজে প্রাইভেট পড়ানো টাকা দিয়ে এ পর্যন্ত অনেক কষ্ট করে আসতে পেরেছি। প্রাইভেট পড়ানো থেকে পাওয়া সামান্য টাকা বোনকে দিতাম তার লেখাপড়ার খরচের জন্য। এ ছাড়াও ডাচবাংলা ব্যাংক থেকে পাওয়া অনুদানের টাকায় চলতো খাদিজার ইন্টারমিডিয়েটের লেখাপড়া।
খাদিজা খাতুন জানান, ছোট থেকে তার ডাক্তার হওয়ার খুব ইচ্ছা। তার ইচ্ছা পূরণের জন্য লেখাপড়ার পেছনে অধিকাংশ সময় ব্যয় করেছে। তিনি তার লেখাপড়ার খরচ নিয়ে চিন্তিত। যদি টাকা পয়সার অভাবে লেখাপড়া মাঝপথে থমকে যায় তাহলে কি হবে? কয়েকদন পরই ভর্তি হতে হবে খাদিজাকে। যাতায়াত ও ভর্তির জন্য ৩৫/৪০ হাজার টাকা হলেই ভর্তি বাধা উত্তোরণ সম্ভব খাদিজার। খাদিজার স্বপ্ন পূরণের জন্য লেখাপড়ার খরচ যোগানোর লক্ষ্যে লেখাপড়ার কেউ দায়িত্ব নিলে খাদিজার স্বপ্ন পূরণ সম্ভব।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার টি এম মোজাহিদুল ইসলাম খাদিজা খাতুনের ভর্তির জন্য সহায়তা করতে চান বলে শিবগঞ্জ থানা পুলিশের একটি সূত্র থেকে জানা গেছে।
কেউ সহায়তা করতে চাইলে খাদিজার বিকাশ অ্যাকাউন্ট নম্বর ০১৭৮০৫৯৭৫৩৫ এ পাঠানো বা যোগাযোগ করতে পারবেন।