Logo
×

Follow Us

শিক্ষা

সরকারি স্কুলে ভর্তির নীতিমালা চূড়ান্ত

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০১৯, ১২:৪৩

সরকারি স্কুলে ভর্তির নীতিমালা চূড়ান্ত

সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে ২০২০ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তির নীতিমালা চূড়ান্ত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। শিগগিরই নীতিমালাটি প্রকাশ করা হবে। 

ঢাকা মহানগরীর স্কুলের পার্শ্ববর্তী এলাকার শিক্ষার্থীদের জন্য ৪০ শতাংশ এলাকা কোটা সংরক্ষণ করার নির্দেশনা দিয়ে ‘সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির নীতিমালা-২০২০’ প্রণয়ন করা হয়েছে।  ৬০ শতাংশ সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

এবার দ্বিতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত এমসিকিউ পরীক্ষা নেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু সে বিষয়ে দ্বিমত থাকায় আগের মতোই লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। 

নীতিমালায় ২০২০ শিক্ষাবর্ষে সব মহানগরী, বিভাগীয় শহর ও জেলা সদরের সব সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। উপজেলা সদরেও কেন্দ্রীয় অনলাইন পদ্ধতিতে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করা বাধ্যতামূলক। তবে নিয়ন্ত্রণ বর্হিভূত কোনো কারণে অনলাইনে না করা গেলে কেবল উপজেলার ক্ষেত্রে ম্যানুয়ালি করা যাবে।

মন্ত্রণালয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ সোহরাব হোসাইনের সভাপতিত্বে গতকাল বুধবার অনুষ্ঠিত সভায় এই নীতিমালা চূড়ান্ত করা হয়।

নীতিমালা অনুযায়ী, ঢাকা মহানগরীর ৩৬টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে তিনটি গুচ্ছে ভাগ করে পরীক্ষা নেয়া হবে। একজন শিক্ষার্থী একটি গুচ্ছের একটি স্কুলেই আবেদন করতে পারবে। আগের মতোই বিদ্যালয় সংলগ্ন ক্যাচমেন্ট এরিয়ার জন্য ৪০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করা হবে। আর বাকি ৬০ শতাংশ সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। তবে মুক্তিযোদ্ধা কোটা, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্থ দপ্তরসমূহের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য কোটা সংরক্ষণ করা হবে।

আর বেসরকারি স্কুলের ক্ষেত্রে কোনো শ্রেণিকে কত আসন রয়েছে তা শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অবহিত করার কথা বলা হয়েছে। কোনো স্কুলে যাতে নির্ধারিত আসনের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করতে না পারে সে জন্য কঠোর মনিটরিং ব্যবস্থা চালু থাকবে বলে সভা থেকে জানানো হয়।

প্রথম-নবম শ্রেণির ভর্তি

নীতিমালা অনুযায়ী, প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য আবশ্যিকভাবে লটারির মাধমে শিক্ষার্থী নির্বাচন করতে হবে। লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীর তালিকা প্রস্তুত করার পাশাপাশি শূন্য আসনের সমান সংখ্যক অপেক্ষমাণ তালিকাও প্রস্তুত রাখতে হবে। ভর্তি কমিটি কর্তৃক নির্ধারিত তারিখে নির্বাচিত শিক্ষার্থী ভর্তি না হলে অপেক্ষামান তালিকা থেকে পর্যায়ক্রমে ভর্তি করা হবে।

দ্বিতীয়-অষ্টম শ্রেণির শূন্য আসনে বহু নির্বাচনী পরীক্ষার মাধ্যমে মেধাক্রম অনুসারে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।

নবম শ্রেণীর ক্ষেত্রে জেএসসি/জেডিসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট বোর্ডের প্রস্তুত করা মেধাক্রম অনুসারে নিজ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির পর অবশিষ্ট শূন্য আসনে অন্য বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য নির্ধারিত ভর্তি কমিটির বাছাই করতে হবে।

সময় ও নম্বর বণ্টন

দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে মোট ৫০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে বাংলায় ১৫, ইংরেজিতে ১৫ ও গণিতে রাখা হয়েছে ২০ নম্বর। পরীক্ষার সময় ধরা হয়েছে এক ঘণ্টা। এছাড়া চতুর্থ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে বাংলায় ৩০, ইংরেজিতে ৩০ ও গণিতে রাখা হয়েছে ৪০ নম্বর। পরীক্ষার সময় ধরা হয়েছে এক ঘণ্টা ৩০ মিনিট।

কোটা সংরক্ষণ

ঢাকা মহানগরীতে সরকারি বিদ্যালয় এলাকায় ওই এলাকার ৪০ শতাংশ কোটা রেখে অবশিষ্ট ৬০ শতাংশ আসন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে মোট আসনের ১০ শতাংশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে।

মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বা সন্তানদের ছেলে-মেয়ের জন্য ৫ শতাংশ, প্রতিবন্ধীদের জন্য ২ শতাংশ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তান ও সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ন্যূনতম যোগ্যতা স্বাপেক্ষে তিন শতাংশ কোটা সংরক্ষিত থাকবে।

ভর্তি ফরম

আগামী ২০২০ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির ফরম বিদ্যালয়ের অফিসে এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, ডিসি অফিস, বিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫