Logo
×

Follow Us

শিক্ষা

শেকৃবির ১১ শিক্ষকের পদোন্নতি নিয়ে বিতর্ক

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২২ মে ২০২১, ১৮:২১

শেকৃবির ১১ শিক্ষকের পদোন্নতি নিয়ে বিতর্ক

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) শিক্ষকদের পদোন্নতি নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। অভিযোগে উঠেছে, শেকৃবি কর্তৃপক্ষ ৭০ জন প্রভাষককে পদোন্নতি দিলেও বাদ পড়া শিক্ষকদের মধ্যে ১১ জন রয়েছেন যারা ছাত্রলীগ ও নীল দলের সমর্থক ছিলেন। পদোন্নতি না পাওয়া শিক্ষকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে অসন্তোষ। বঞ্চিতরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেওয়াজ না মেনে শিক্ষকদের পদোন্নতি বঞ্চিত হয়েছে। এমন ঘটনা আগে ঘটেনি।

পদোন্নতি বঞ্চিত প্রভাষকদের মধ্যে রয়েছেন মারুফা খাতুন, আফসানা ফেরদৌস, জাকির হোসেন, লিটা বিশ্বাস, মাহবুবা সিদ্দিকা জিতু, চৈতি দে পূজা, রোকেয়া সুলতানা, মো শহীদুল ইসলাম খান, তাসনিম সুলতানা এবং আশরাফিয়া আক্তার মুক্তা।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া বলেন, ছাত্রলীগ বা নীল দল সমর্থক হিসেবে বাদ দেয়া হয়নি। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মাস্টার্স না থাকায় সিন্ডিকেট তাদের বাদ দিয়েছে। আমি শিক্ষকদের পদোন্নতি দিতে সিন্ডিকেটের কাছে তিনটি প্রস্তাব দিয়েছিলাম। বলেছিলাম, যে বিষয়ে মাস্টার্স রয়েছে সে বিষয়ের শিক্ষক হিসেবে ট্রান্সফার দিয়ে পদোন্নতি দেয়া কিংবা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দুই বছরের মধ্যে মাস্টার্স পাস করার শর্ত দিয়ে পদোন্নতি দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলাম। কিন্তু সিন্ডিকেট জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মাস্টার্স না থাকলে দেয়া হবে না। আগামীতে এসব শিক্ষককে শর্তসাপেক্ষে পদোন্নতির চেষ্টা করবো। 

সিন্ডিকেট সদস্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ বলেন, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মাস্টার্স না থাকায় তাদের পদোন্নতি হয়নি। আগে দেয়া হয়েছে কিনা জানি না।

বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন বলেন, কৃষি অনুষদের সব বিষয়ই অনার্স পড়ানো হয়। অনুষদের একটি বিষয়ের সাথে অন্য বিষয়ের গভীর মিল আছে। আবার একজন প্রভাষককে দুই বছর চাকরি করতে হবে এবং তার পাবলিকেশনস থাকলে তাকে সহকারী অধ্যাপক পদোন্নতি দেয়া হয়। সহযোগী অধ্যাপক হতে হলে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মাস্টার্স করতে হবে। এতোদিন সেটাই হয়ে এসেছে। বর্তমানে নিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন বিধিবিধান যুক্ত করে আইন করা হচ্ছে। এখনো সেটি পাস হয়নি।

পদোন্নতি বঞ্চিত ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ফাইন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক প্রার্থী আবু জাফর আহমেদ মুকুল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী সকল যোগ্যতা অর্জন এবং ভাইভা বোর্ডে বিশেষজ্ঞদের সুপারিশ থাকলেও নীল দলের সমর্থক ১১ প্রভাষকসহ মোট ১৩ জনকে পদোন্নতি দেয়া হয়নি। আমি ম্যানেজমেন্টে গ্রাজুয়েট জানা সত্ত্বেও একজন সদস্য আমাকে অযথা ফাইন্যান্স নিয়ে প্রশ্ন করে হেনস্থা করেছে। অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেয়া হয়নি সহযোগী অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম রাসেলকেও।

এ বিষয়ে সিন্ডিকেট সদস্য রওনক মাহমুদ বলেন, এই দুই শিক্ষকের পদোন্নতির প্রস্তাব যাচাই-বাছাই কমিটি বাদ দিয়েছে। সিন্ডিকেট বাদ দেয়নি।

বঞ্চিত শিক্ষকরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বছরের পর বছর পদোন্নতি দেয়ার ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হয়নি। কোনো শর্ত ছাড়াই দেয়া হয়েছে।  সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মাস্টার্স পাসের জন্য সময় বেঁধে দিয়ে এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ট্রান্সফার করে পদোন্নতির সুযোগ ছিলো। কিন্তু এবার তা করা হয়নি।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫