পালিত হলো পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় দিবস

পবিপ্রবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২১, ১৫:৪৪

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুর্যালে পুষ্প স্তবক অর্পণ করছেনভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত।
আজ পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় দিবস। ২০০০ সালের ৮ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পটুয়াখালী কৃষি কলেজকে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে উদ্বোধন করেন।
দেখতে দেখতে ২১ এ পবিপ্রবি। এর অবস্থান পটুয়াখালী প্রবেশপথে পটুয়াখালী-বরিশাল মহাসড়কের লেবুখালীস্থ পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্কয়ার থেকে ৫ কিলোমিটার পূর্বে দুমকি উপজেলা সদরে। এর আয়তন ৮৯ একর। ৪ টি ছাত্র আবাসিক হল এবং ৩টি ছাত্রী আবাসিক হলে ৩০০০ শিক্ষার্থীর থাকার সুবিধা রয়েছে।
পবিপ্রবি একটি পূর্ণ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ৮টি অনুষদ কার্যক্রম রয়েছে। পবিপ্রবির বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত।
এবার দেশব্যাপী কোভিট-১৯ মহামারির কারণে চলমান কঠোর বিধিনিষেধ থাকায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে সীমিত পরিসরে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হচ্ছে।
এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সম্মুখে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করেন প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন কমিটির আহবায়ক প্রফেসর মোহম্মদ আলী।
এরপর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ ভাস্কর্য ও বঙ্গবন্ধুর মুর্যালে পুষ্প স্তবক অর্পণ করেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব সুজন কান্তি মালীর সঞ্চালনায় এক সংক্ষিপ্ত ভার্চুয়াল আলোচনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
ভার্চুয়াল আলোচনায় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত তার বক্তব্যে বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের জনগণের দোড়গোড়ায় শিক্ষা প্রসারের লক্ষ্যে ২০০০ সালের ৮ জুলাই তৎকালীন ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পটুয়াখালী কৃষি কলেজের অবকাঠামোতে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। বিশ্বমানের গ্রাজুয়েট তৈরীর লক্ষ্যে তিনি এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
তিনি আরো বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সকলকে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানান।