বাংলাদেশ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতি খুলনার কমিটি গঠন

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৭ নভেম্বর ২০২১, ১৬:৫৮

বাংলাদেশ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতি খুলনার কমিটি গঠন
বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় বৈষম্যহীন শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা এবং এমপিওভুক্ত শিক্ষাব্যবস্থাকে জাতীয়করণ করার দাবিকে গণদাবিতে রূপ দিতে শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) সকাল ১০টায় খুলনার বিশ্ব ইসলাম দাখিল মাদ্রাসায় ‘বাংলাদেশ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতি’র উদ্যোগে খুলনা জেলা আহ্বায়ক কমিটি গঠন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সাবিনা ইয়াসমিনকে (বিশ্ব ইসলাম দাখিল মাদ্রাসা) আহ্বায়ক এবং হিরণ্য চন্দ্র মন্ডলকে (কুলটী মাধ্যমিক বিদ্যালয়) সদস্য সচিব করে ৬১ সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রিয় কমিটির সভাপতি মো. বোরহান উদ্দিন সরকার। এছাড়াও প্রধানবক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কমিটির মহাসচিব এস. এম. হাবিবুর রহমান।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন- কেন্দ্রিয় কমিটির সহ-সভাপতি ফয়েজ আহমেদ, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আব্দুল হালিম মুরাদ, অর্থ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম, উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মো. মনির হোসেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য আসাদুজ্জামান, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক ইউনুস শিকদারসহ খুলনা জেলার বিভিন্ন উপজেলার সহকারী শিক্ষকবৃন্দ।
কেন্দ্রিয় কমিটির মহাসচিব এস এম হাবিবুর রহমান বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষকেরা আজ প্রতি পদে পদে বঞ্চিত। আজ এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বৈষম্যের সীমা নাই।
তিনি বলেন, চাকুরির নিরাপত্তা বলা হয় বদলি ব্যবস্থাকে। অথচ আজও এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্যে বদলি বাস্তবায়ন হয়নি। এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের নামমাত্র একহাজার টাকা বাড়িভাড়া দেওয়া হয়। যা বর্তমান দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে উপহাস ছাড়া আর কিছুই নয়। এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা চিকিৎসা ভাতা পান মাত্র পাঁচশ টাকা। আজও এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা চালু হয়নি। যা অত্যন্ত অমানবিক। শিক্ষকদের বেতন থেকে অতিরিক্ত কোন সুযোগ-সুবিধা না দিয়েই অতিরিক্ত ৪% কর্তন করা হচ্ছে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক।
তিনি বলেন, অবসরের পরে শিক্ষকদের বেতন থেকে কর্তনকৃত টাকা যা অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্ট নামে পরিচিত। সেই অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা পেতে বিড়ম্বনার শেষ নেই। কোন কোন শিক্ষক আবার সেই টাকা অপ্রাপ্তির বেদনা নিয়েই কবরে চলে যান। এছাড়াও বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের অযাচিত হস্তক্ষেপ শিক্ষকদের দুর্দশার মাত্রা সীমাহীন করেছে। এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা এসব অন্যায় মেনে নেবে না। এসব বৈষম্য দূর করার একমাত্র উপায় হল এমপিওভুক্ত শিক্ষাব্যবস্থার জাতীয়করণ করা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংগঠনের কেন্দ্রিয় কমিটির সভাপতি মো. বোরহান উদ্দীন সরকার বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষকরাই দেশের প্রায় ৯৭% শিক্ষার্থীদের পাঠদান করেন। একই দেশ, একই বই, একই সিলেবাস, একই শিক্ষাব্যবস্থা। আর সবকিছু একই হওয়া স্বত্তেও এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা আজ পাহাড় সমান বৈষম্যের শিকার। যা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। আমাদেরকে আত্ম-সচেতন হতে হবে। নিজেদের অধিকার আদায়ে শিক্ষকদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। একতাই উন্নয়নের পূর্বশর্ত।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন কালনা আমিনীয়া ফাযিল মাদ্রাসার সহকারি শিক্ষক মো. হুমায়ুন কবির।
এ সময় সভার সভাপতি সাবিনা ইয়াসমিন তার সমাপনী বক্তব্যে খুলনা জেলার সকল সহকারী শিক্ষকদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে বাংলাদেশ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. বোরহান উদ্দীন সরকারের নেতৃত্বে জাতীয়করণের আন্দোলনকে শক্তিশালী করার অনুরোধ জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।- বিজ্ঞপ্তি