
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)
শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন ও যথোপযুক্ত দক্ষ মানব সম্পদ তৈরিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তির আসন সংখ্যা পুনর্বিন্যাসের উদ্যোগ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ থেকে নতুন আসন সংখ্যা কার্যকর হতে পারে।
গতকাল বুধবার (৫ জানুয়ারি) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সক্ষমতা ও সামর্থ এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চাহিদা বিবেচনায় নিয়ে ডিনস কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় এ বিষয়ে সুপারিশ করা হয়। তবে এ সুপারিশের বিষয়ে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভায় আরও পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন সংখ্যা অন্তত এক হাজার কমিয়ে ছয় হাজারে নামিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। উচ্চশিক্ষাকে প্রয়োজন ও দক্ষতাভিত্তিক করতে এ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোর সঙ্গে আসন সংখ্যা সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়— এমন সমালোচনা বেশ কিছুদিন ধরেই চলছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সভায় সভাপতিত্ব করেন। এসময় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল এবং বিভিন্ন অনুষদের ডিন উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সংশ্লিষ্ট বিভাগ বা ইনস্টিটিউট ও অনুষদসমূহের চাহিদা বা প্রস্তাব পর্যালোচনা করা হয় এবং ভর্তির যৌক্তিক আসন সংখ্যা নির্ধারণ বিষয়ে সুপারিশ প্রণীত হয়। এই সুপারিশ অনুমোদনের জন্য পরবর্তী একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় পেশ করা হবে।
এ বিষয়ে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, অবকাঠামো সুবিধার তুলনায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় এ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। আসন সংখ্যা পুনর্বিন্যাস করা হবে। অর্থাৎ কোনও কোনও বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে এখন যে আসন আছে তা কমতে পারে। আবার কোনও কোনও ক্ষেত্রে বাড়তেও পারে।
১৯২১ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি বছর শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়লেও অবকাঠামো সুবিধা সে হারে বাড়েনি। এতে আবাসন সংকটসহ নানা সংকট তৈরি হয়েছে।
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো সমস্যা সমাধানে একটি মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে ঢাবি কর্তৃপক্ষ।