Logo
×

Follow Us

শিক্ষা

আরটি-কিউপিসিআর-এনজিএস পদ্ধতি প্রকল্পের উদ্ভাবন

Icon

যবিপ্রবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬ জানুয়ারি ২০২২, ১৭:৪২

আরটি-কিউপিসিআর-এনজিএস পদ্ধতি প্রকল্পের উদ্ভাবন

ইনসেপশন ওয়ার্কশপ

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশের মূল চালিকা শক্তি হলো কৃষি। সুতরাং কৃষি খাতে যত বেশি প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ঘটবে, গবেষণায় আরো সাফল্য আসবে, তত দ্রুত বাংলাদেশ উন্নত দেশের কাতারে উন্নীত হবে। আমাদের টেকসই উন্নয়নের পূর্বশর্ত হচ্ছে কৃষিখাতের প্রযুক্তিগত অভূতপূর্ব উন্নয়ন।

বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে যবিপ্রবির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমিক ভবনের গ্যালারিতে আয়োজিত এক ‘ইনসেপশন ওয়ার্কশপে’ সভাপতির বক্তব্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন এসব কথা বলেন। 

‘আরটি-কিউপিসিআর এবং এনজিএস পদ্ধতি ব্যবহার করে বাগদা চিংড়ির যকৃত-অগ্ন্যাশয়ে তীব্র পচনজনিত রোগের জিনোমিক গবেষণার মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ পদ্ধতি উদ্ভাবন’ প্রকল্পটি সূচনা করতে এ ওয়ার্কশপের আয়োজন করা হয়। 

ওয়ার্কশপে অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, বর্তমান সরকারের লক্ষ্য হলো- ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে উন্নীত করা। তবে উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত দেশে উন্নীত হওয়া অপেক্ষাকৃত অনেক কঠিন। আমাদের মূল চালিকা শক্তি হলো কৃষি। সুতরাং কৃষি প্রযুক্তিভিত্তিক যত বেশি প্যাটেন্ট ও প্রোসেস রাইট তৈরি এবং বাজারজাত করতে পারব তত দ্রুত আমরা উন্নত দেশের কাতারে উন্নীত হতে পারব।

যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, বয়সে নবীন হলেও বাংলাদেশের মধ্যে জিনোমিক গবেষণার ক্ষেত্রে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় অনেক এগিয়ে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএসএল-৩ মানের একটি অ্যানিমাল হাউস ও সেল কালচার ল্যাবের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আমাদের লক্ষ্য এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভ্যাকসিন গবেষণা প্রতিষ্ঠা করা। একইসঙ্গে কৃষিকে এগিয়ে নিতে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি কৃষি অনুষদও খোলা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। প্রকল্পটি শেষ করতে সর্বাত্মক সহযোগিতারও আশ্বাস দেন যবিপ্রবি উপাচার্য।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ কৃষিতে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। এটি সম্ভব হয়েছে কৃষিতে প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন উদ্ভাবন এবং সরকারের সহায়ক নীতির কারণে। 

তিনি বলেন, বর্তমানে কৃষির মূল চ্যালেঞ্জ হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন, জমির উর্বরতা কমে যাওয়াসহ নানা সমস্যা। তারপরেও যারা কাজ করতে যাচ্ছেন, আমরা তাদের সহায়তা করব।

ওয়ার্কশপে আরো বক্তব্য দেন যবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আব্দুল মজিদ, কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড. জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাস, যবিপ্রবির জীববিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. জিয়াউল আমিন, রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব, ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসায়েন্স (এফএমবি) বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ। 

ইনসেপশন ওয়ার্কশপে গবেষণার লক্ষ্য, উদ্দেশ্যসহ বিভিন্ন বিষয়ে মূল বক্তব্য দেন প্রকল্পটির প্রধান গবেষক ড. মো. মীর মোশাররফ হোসেন। স্বাগত বক্তব্য দেন প্রকল্পটির সহ-গবেষক অধ্যাপক ড. মো. আনিছুর রহমান। 

দুই পর্বে আয়োজিত এ ওয়ার্কশপের প্রথম পর্ব পরিচালনা করেন প্রকল্পটির রিসার্চ ফেলো নওশীন ফারজানা ও দ্বিতীয় পর্ব পরিচালনা এফএমবি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মঞ্জুরুল হক। 

আগামী তিন বছরব্যাপী এ গবেষণা প্রকল্প চলমান থাকবে। কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহায়তা ও কারিগরি তত্ত্বাবধানে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে।  

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫