Logo
×

Follow Us

শিক্ষা

বৃত্তির টাকা নিয়ে ভোগান্তিতে হাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা

Icon

হাবিপ্রবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৭:১৮

বৃত্তির টাকা নিয়ে ভোগান্তিতে হাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা

- ফাইল ছবি

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের প্রত্যেক সেমিস্টারের ফলের ওপর ভিত্তি করে এক হাজার ২০০ টাকা করে বৃত্তি প্রদান করার বিধি রয়েছে। কিন্তু উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ওই বিশেষ বৃত্তির টাকা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। 

প্রথম বর্ষে ভাল ফলের ওপর ভিত্তি করে বৃত্তির তালিকায় নাম থাকা শিক্ষার্থীরা স্নাতকের শেষ বর্ষে এসেও প্রথম বর্ষের টাকা না পাওয়ার অভিযোগ তুলেছে শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ক্ষোভ জানিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা। 

সূত্র জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী কৃষি অনুষদ, মাৎসবিজ্ঞান অনুষদ, ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সাইন্স অনুষদ এবং ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের (টেকনিক্যাল বিষয়) শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় পাশ করলেই এক হাজার ২০০ টাকা করে বৃত্তির টাকা পাওয়ার কথা। বিজ্ঞান অনুষদ, ব্যবসা শিক্ষা অনুষদ এবং সমাজবিজ্ঞান ও মানবিক অনুষদের প্রত্যেক অনুষদের ২০ শতাংশ শিক্ষার্থীদের ওই বৃত্তির টাকা দেওয়া হয়।

প্রত্যেক সেমিস্টারের ফলের পর শিক্ষার্থীদের বৃত্তির টাকা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্বববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) এক মাসের মধ্যে দেওয়া হলেও হাবিপ্রবিতে সময় লাগে এক থেকে তিন বছর । 

বিজ্ঞান অনুষদের ১৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী তাইজুল ইসলাম বলেন, ‘যারা নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করতে আসেন তাঁদের কাছে বৃত্তির  সমান্য টাকাও অনেক বড় কিছু। অথচ আমরা বহুবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানানোর পরেও কোনো সমাধান হয়নি বিষয়টির। হল প্রশাসন বলে তাদের কাছে কন্ট্রোলার সেকসন থেকে ফলের অনুলিপি আসেনি। আবার কন্ট্রোলার সেকসন বলে ফলের অনুলিপি হল প্রশাসনের কাছে পাঠানো হয়েছে। তাই মাঝে মাঝে শিক্ষার্থীদেরকেই ফলের অনুলিপি হল অফিসে পৌঁছে দিতে হয় । তারপর ফাইল তৈরি হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি অফিসে ঘোরাঘুরি করে ব্যাংকে টাকা যায়। এতে করে অনেক সময় লেগে যায়। যা এক ধরণের হয়রানি।

প্রথম বর্ষের বৃত্তির টাকা চতুর্থ বর্ষেও না পাওয়ার কথা কৃষি অনুষদের ২০১৭ ব্যাচের মো. আনিসুর ইসলাম নামে আরেক শিক্ষার্থীও জানান।

বৃত্তির টাকা হস্তান্তরের দেরির বিষয়ে অবগত থাকার কথা জানিয়ে হাবিপ্রবির শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের হল সুপার অধ্যাপক ড. মোঃ আবু সাঈদ জানান, দীর্ঘদিন থেকে শিক্ষার্থীরা এ বিষয় নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে আসছে। বর্তমান উপাচার্য অনেক ভালো কাজ করছেন। দ্রুতই উল্লেখিত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। 

বৃত্তির টাকা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া পরিবর্তন করা হলে শিক্ষার্থীরা দ্রুত ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে পারবেন বলে তিনি মনে করেন। তিনি আরে জানান, কন্ট্রোলার সেকশন, একাডেমিক বৃত্তিশাখা ও হিসাব শাখা সমন্বয় করে কাজটি করলে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমে যাবে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫