ওই শিক্ষার্থী ট্রমায় ভুগছেন, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬ জানুয়ারি ২০২০, ১৪:০১

ঘটনাস্থলে বই, ইনহেলার, ঘড়িসহ বেশকিছু আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
ধর্ষণের শিকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রী ট্রমায় ভুগছেন এবং শরীরে বেশকিছু জখম রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন।
ওই ছাত্রী ও হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে আজ সোমবার একথা জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, ওই ছাত্রী ট্রমায় ভুগছেন, তার শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। ধর্ষণের বিষয়টি ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) ফরেনসিক বিভাগ দেখছে। পাশাপাশি তাকে ঢামেকের নাক কান গলা বিভাগ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক বলেন, ওই শিক্ষার্থীর শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিদ্যা বিভাগের সাবেক প্রধান অধ্যাপক ডা. সালমা রউফকে প্রধান করে সাত সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
গতকাল রবিবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজধানীর কুর্মিটোলায় রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ওই ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে শেওড়া যাচ্ছিলেন ওই ছাত্রী। সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি কুর্মিটোলায় বাস থেকে নামার পর এক ব্যক্তি তার মুখ চেপে পাশের নির্জন স্থানে নিয়ে যান। সেখানে তাকে অজ্ঞান করে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়। পরে রাত ১০টার দিকে জ্ঞান ফিরলে তিনি বিষয়টি বুঝতে পারেন। পরে সেখান থেকে অটোরিকশায় করে বান্ধবীর বাসায় ফেরার পর রাত ১২টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে ঢামেকের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী ধর্ষণের এ ঘটনায় সোমবার কুর্মিটোলায় ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করেছে র্যাব ও ডিবি। সেখানে গলফ ক্লাবের বাইরের দিকে একটি ঝোপের মধ্যে কিছু আলামত পেয়েছে তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক র্যাবের এক সদস্য বলেন, ঝোপের মধ্য থেকে ইউনিভার্সিটির বই, চাবির রিং, ইনহেলার, ঘড়িসহ বেশ কিছু আলামত আমরা পেয়েছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি এটিই ঘটনাস্থল। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানানো হয়েছে। তারা আসলে বিস্তারিত জানানো হবে।
এদিকে এ ঘটনায় ক্যান্টনমেন্ট থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে ওই ছাত্রীর বাবা মামলা দায়ের করেন। ঘটনাস্থল চিহ্নিত করে আলামত সংগ্রহ করেছে পুলিশ। থানা পুলিশের পাশাপাশি ঘটনা তদন্তে ডিবি ও র্যাব কাজ শুরু করেছে।
আজ সকালে মামলা দায়ের করা হয় বলে জানিয়েছেন ক্যান্টনমেন্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাহান হক।