
শিক্ষা মন্ত্রণালয়
বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১৫ হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগের বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির ফল ও তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে যোগদান না করা পদগুলোতে দ্বিতীয় ধাপের সুপারিশের জন্য ১১ হাজার ৭৬৯ জন নির্বাচিত হয়েছেন।
এর মধ্যে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষক পদে নিয়োগ সুপারিশ পাচ্ছেন ৪ হাজার ৭৫২ জন। আর তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে যোগদান না করা পদগুলোতে দ্বিতীয় ধাপের সুপারিশ পাচ্ছেন ৭ হাজার ১৭ জন প্রার্থী। পুলিশ ভেরিফিকেশনের পর প্রার্থীদের চূড়ান্ত নিয়োগ সুপারিশ করা হবে।
রবিবার (৫ জুন) সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এ তথ্য জানান।
মোট সাড়ে ২২ হাজার শিক্ষক পদে প্রার্থীদের নিয়োগের প্রাথমিক সুপারিশের পরিকল্পনা থাকলেও বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির সব পদে আবেদন পায়নি এনটিআরসিএ। মন্ত্রী জানান, এ গণবিজ্ঞপ্তিতে ৮ হাজার ৩৫৯ জনের আবেদন পাওয়া গেছে। এরমধ্য থেকে মেধা ও চাহিদার ভিত্তিতে ৪ হাজার ৭৫২ জন নিয়োগ সুপারিশ পাচ্ছেন। এর ৪ হাজার ১৮৫ টি পদ এমপিও এবং ৫৬৭ টি পদ নন এমপিও। নতুন নিয়োগ সুপারিশের জন্য নির্বাচিত প্রার্থীদের ২ হাজার ৫০৪ জন সাধারণ ধারার স্কুল-কলেজে এবং ২ হাজার ২৪৮ জন মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ সুপারিশ পাচ্ছেন।
মন্ত্রী আরও জানান, তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে যোগদান না করা ৭ হাজার ১৭ টি পদে আবেদন করা পরবর্তী প্রার্থীদের নিয়োগ সুপারিশ করা হচ্ছে। এসব পদের ৬ হাজার ২০৫ টি এমপিও এবং ৮১২টি ননএমপিও। দ্বিতীয় ধাপের সুপারিশের জন্য নির্বাচিত প্রার্থীদের ৪ হাজার ৫৩৯ জন সাধারণ ধারার স্কুল-কলেজে এবং ২ হাজার ৪৭৮ জন মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ সুপারিশ পাচ্ছেন। মোট নিয়োগ সুপারিশের জন্য নির্বাচিত প্রার্থীদের মধ্যে পুরুষ ৭ হাজার ৭০৪ জন এবং নারী ৪ হাজার ৬৫ জন।
বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি অনুসারে ১৫ হাজার ১৬৩ শিক্ষক পদে আবেদন নেয়া হয়েছিলো। এ গণবিজ্ঞপ্তির ১৫ হাজারের বেশি পদে ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন নেয়া হয়। এরমধ্যে এমপিও পদ ছিলো ১২ হাজার ৮০৭টি ও ননএমপিও পদ ছিলো ২ হাজার ৩৫৬টি। এসব পদে ৩ লাখ ৪৩ হাজার ৪০৭টি আবেদন পাওয়া গিয়েছিল।