মাস্টারপ্ল্যান উপেক্ষা করেই বশেমুরবিপ্রবিতে হাইটেক পার্ক নির্মাণের কাজ শুরু

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩০ আগস্ট ২০২২, ১৩:২৮

বশেমুরবিপ্রবির ক্যাম্পাস থেকে তোলা ছবি। ছবি: বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি
রিজেন্ট বোর্ডের অনুমতি ব্যতীতই মাস্টারপ্ল্যান উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে হাইটেক পার্ক নির্মাণের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে হাইটেক পার্কের প্রকল্প পরিচালক এ.কে.এ.এম ফজলুল হক বলেন, ‘আমরা আজ থেকে কার্যক্রম শুরু করেছি এবং আগামী মাসে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে উদ্বোধন কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয় হাইটেক পার্ক থেকে কি কি সুযোগ সুবিধা পাবে এবং এ বিষয়ে কোনো এমওইউ হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘এখনো কোনো এমওইউ সাক্ষরিত হয়নি তবে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে আমাদের যেসকল এমওইউ রয়েছে আমরা এই বিশ্ববিদ্যালয়কে তার অনুলিপি দিবো এবং পরবর্তীতে আলোচনা সাপেক্ষে এমওইউ সাক্ষরিত হবে।’
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস দপ্তর সূত্রে জানা যায়, যেই স্থানে কাজ শুরু হয়েছে এই জায়গাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী অডিটোরিয়াম নির্মাণ হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু বর্তমানে জায়গাটি হাইটেক পার্ককে দিয়ে দেওয়ায় অডিটোরিয়াম নির্মাণ অনিশ্চিত হয়ে গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ইতোপূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় একাডেমিক ভবনের স্থানে হাইটেক পার্ক নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হলে শিক্ষক- শিক্ষার্থী, কর্মকর্তারা এর প্রতিবাদ জানান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বতন্ত্রতা ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার প্লান অক্ষুণ্ণ রেখে প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নতুন জায়গা অধিগ্রহণ করে তার একটি স্থানে হাইটেক পার্ক নির্মাণের দাবি জানান।
ওই সময়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে চরম অবকাঠামোগত সংকটের মাঝে একাডেমিক ভবনের জন্য বরাদ্দকৃত একটি জায়গায় হাইটেক পার্ক নির্মাণ করার কোনোভাবেই যৌক্তিকতা নেই। যদি এখানে হাইটেক পার্ক নির্মাণ হয় তাহলে বহিরাগতের আনাগোনা অনেক বৃদ্ধি পাবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ব্যাহত হবে।’
তারা আরো বলেন, ‘ইতোপূর্বে আমরা দেখেছি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বারবার হামলার শিকার হয়েছে। কিন্তু এর কোনো ঘটনারই সুষ্ঠু বিচার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন করতে পারেনি। এমন অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে হাইটেক পার্ক নির্মাণ হলে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা আরো বেশি হুমকির সম্মুখীন হবে। তাই হাইটেক পার্ক এমন কোনো স্থানে নির্মাণ হোক যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা নিশ্চিত হয়।’