শিবির সন্দেহে আটক ১০ শিক্ষার্থীর আবেদনের প্রেক্ষিতে তাদের বহিষ্কারাদেশ স্থগিত করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)। ফলে ক্লাস-পরীক্ষায় অংশগ্রহণে তাদের আর কোনো বাধা থাকলো না।

আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পর এসব শিক্ষার্থীর আবেদনের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

আজ রবিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল।

তিনি বলেন, তারা যেহেতু জামিনে রয়েছে, তাই আবেদনের প্রেক্ষিতে ক্লাস-পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। 

শিবির সন্দেহে আটক হওয়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলো ১১ জন। তাদের মধ্যে ১০ জন আবেদন করেছে ক্লাস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অনুমতির জন্য। একজন যেহেতু আবেদন করেনি তাই তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

ক্লাস পরীক্ষার অনুমতি পাওয়া ১০ শিক্ষার্থী হলেন- রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ইব্রাহিম আলী, ইতিহাস বিভাগের ইসরাফিল হোসেন, লোক প্রশাসন বিভাগের মো. মেহেদী হাসান (মাহদী), হিসাববিজ্ঞান বিভাগের মো. রওসন উল ফেরদৌস, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মেহেদী হাসান, বাংলা বিভাগের শ্রাবণ ইসলাম রাহাত, ব্যবস্থাপনা বিভাগের মো. ফাহাদ হোসেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মো. ওবায়দুল ইসলাম, হিসাববিজ্ঞান বিভাগের মো. শাহিন ইসলাম ও মনোবিজ্ঞান বিভাগের আব্দুর রহমান অলি।

এদিকে সংগীত বিভাগের আল-মামুন রিপন সময়সীমা অতিক্রম হওয়ার পর আবেদন করায় তার বিষয়ে পরবর্তী সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

জানা যায়, গত ২৪ মার্চ মধ্যরাতে রাজধানীর গেন্ডারিয়া থানার ধূপখোলা এলাকার একটি মেসে অভিযান চালিয়ে শিবির সন্দেহে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।

এরপর গত ৪ এপ্রিল দেশের সার্বভৌমত্ব ক্ষতিগ্রস্ত করাসহ আইনশৃঙ্খলা অবনতি ঘটানোর অভিযোগে সেই ১১ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।