জামালপুরের মেলান্দহের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেফমুবিপ্রবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় মির্জা আজম হলে ব্যাপক ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

আজ মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুর পর্যন্ত ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছিলো। বিকেলে ছাত্রলীগের একপক্ষ বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এরআগে সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাতে ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাউছার আহমেদ স্বাধীন ও যুগ্ম আহ্বায়ক এহসানুল হক ইরফান গ্রুপের মধ্যে পাল্টাপাল্টি এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।

সংঘর্ষে উভয়পক্ষে অন্তত ২০ জন নেতাকর্মী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গুরুতর আহত বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ফিশারিজ ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী এহসানুল হক ইরফান এবং সমাজকর্ম বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী শাকিল আহমেদ জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেফমুবিপ্রবি) মির্জা আজম হলের ১০১ নম্বর কক্ষে সিনিয়র ও জুনিয়র শিক্ষার্থীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর জের সূত্র ধরে রাত ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাউছার আহমেদ স্বাধীন ও যুগ্ম আহ্বায়ক এহসানুল হক ইরফান গ্রুপের মধ্যে পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষ শুরু হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাউছার আহমেদ স্বাধীন বলেন, ১০১ নম্বর রুমে মাদকাসক্ত এক শিক্ষার্থী থাকে। সে অন্য শিক্ষার্থীকে গাঁজা সেবনের জন্য ডাকে। এটা নিয়েই রুমের বড়ভাইদের সাথে কথা কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়।

ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক এহসানুল হক ইরফান বলেন, আমাদের কর্মী শাকিল আহমেদকে প্রতিপক্ষের নেতাকর্মীরা মারধর করায় সংঘর্ষ বাধে।

এদিকে আজ মঙ্গলবার দুপুরে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক কাউছার আহমেদ স্বাধীনের নেতৃত্বে প্রতিপক্ষের হামলা ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার মোহাম্মদ আবদুল মান্নান বলেন, সংঘর্ষের ঘটনাটি মধ্যরাতে ঘটে। ঘটনা তদন্তে ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

মেলান্দহ থানার অফিসার ইনচার্জ দেলোয়ার হোসেন মুঠোফোনে জানান, ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুরুতর আহত দুই শিক্ষার্থী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এব্যাপারে থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ক্যাম্পাস এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।