জামালপুরের মেলান্দহের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেফমুবিপ্রবি) ভিসির অপসারণের দাবিতে ১৪শ দিনের মতো আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষকরা। এতে লাগাতার শিক্ষা-কার্যক্রম বন্ধ হওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছে শিক্ষার্থীরা।

আজ মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) ক্যাম্পাসে গিয়ে দেখা যায়, অধিকাংশ শিক্ষার্থী বাড়ি চলে গেছে। অনেকটা নীরবতা বিরাজ করছে ক্যাম্পাসে। দাবিদাওয়া বাস্তবায়নে কর্মবিরতিসহ অনড় আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষকরা। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভা হঠাৎ বাতিল হয়েছে বলে জানা গেছে।

সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী একেএম রেজওয়ান ফেরদৌস জানান, করোনায় এমনিতেই আমরা পিছিয়ে পড়েছি, তার উপর শিক্ষকদের আন্দোলন সেশনজট তৈরি হচ্ছে।

আন্দোলনে নেতৃত্ব দানকারী সহকারী অধ্যাপক ড. এ এইচ এম মাহবুবুর রহমান বলেন, ভিসির পরিবারের সদস্যদের নামে পঁচিশটি ব্যাংক হিসাব পাওয়া গেছে। যার পাঁচটিতেই রয়েছে এককোটি ৮৫ লাখ টাকা রয়েছে। ভিসি চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়ে বেতনের অর্ধেক তিনি নেন। রাজশাহী থেকে জামালপুর এসে রাজশাহী টু ঢাকা বিমানের বিল করেন। ঢাকায় প্রতিমাসে ৭০ হাজার টাকায় গেস্ট হাউজ ভাড়া করে রাখেন, সেখানে কোন শিক্ষকরা যেতে পারেন না। ইতোপূর্বে তিনি স্বেচ্ছাসেবক এবং সাংবাদিকদের আপ্যায়নের নামেও দশলাখ টাকা বিল ভাউচার পাশ করে আত্মসাৎ করেন বলে শিক্ষকরা অভিযোগ করেন।

এদিকে আজ (মঙ্গলবার) বিকেল ৩টায় সিন্ডিকেট সভা আহ্বান করা হয়েছিল। ভিসির অসুস্থতার কথা জানিয়ে  হঠাৎ তা বাতিল করায় শিক্ষকদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। 

আন্দোলনকারী শিক্ষকরা জানান, বিভিন্ন সময় অযথাই ভিসি নিজেকে অসুস্থ দাবি করেন।

এদিকে আগামী বৃহস্পতিবার এই ভিসির শেষ কর্মদিবস। আন্দোলনকারী শিক্ষকদের দাবি, এই ভিসি যাতে পুনরায় নিয়োগ না পায়।

এসব বিষয়ে কথা বলতে ভিসির সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুব আলম জানান, ভিসি স্যার অসুস্থ, তাই সিন্ডিকেট সভা বাতিল করা হয়েছে।