
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: নোবিপ্রবি প্রতিনিধি
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ১১ জন শিক্ষক ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের বিশেষ গবেষণা অনুদান পেয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে উপ-সচিব বিদ্যুৎ চন্দ্র আইচের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
সর্বমোট ৬৮২টি গবেষণা প্রকল্পের অনুদানের জন্য নির্বাচিত গবেষকদের মধ্যে নোবিপ্রবির ১১ জন গবেষক নির্বাচিত হয়েছেন। মনোনীত গবেষকরা প্রতিটি গবেষণার জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে দুই, আড়াই, তিন, চার ও পাঁচ লাখ টাকা করে পাবেন।
নোবিপ্রবি থেকে মনোনীত গবেষকরা হলেন- অ্যাপ্লাইড কেমিস্ট্রি অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর, ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান ড. মো. শফিকুল ইসলাম, অ্যাপ্লাইড ম্যাথ বিভাগের অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান ড. মো. হানিফ, ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. দেবাশীষ সাহা, অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান, সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. রাকেবুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক ড. শ্যামল কুমার পাল, বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম, বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহযোগী অধ্যাপক ড. সুবোধ কুমার সরকার, এনভাইরনমেন্ট সায়েন্স অ্যান্ড ডিজ্যাস্টার ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ মুহিনুজ্জামান, ওশানোগ্রাফি বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহকারী অধ্যাপক নাজমুস সাকিব খান।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম সাম্প্রতিক দেশকালকে বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা গবেষণায় দিন দিন এগিয়ে যাচ্ছেন। সমৃদ্ধ হচ্ছে গবেষণা। আশা করি এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত, গবেষণারত এমএস, এমফিল, পিএইচডি এবং পোস্ট-ডক্টরাল পর্যায়ের শিক্ষার্থী ও গবেষকদের এই অনুদান দেওয়া হয়ে থাকে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এই অনুদান প্রদান করে। সাধারণত তিনটি ক্ষেত্রে শিক্ষার্থী ও গবেষকদের এই অনুদান দেওয়া হয়। প্রতি বছর বায়োলজিক্যাল সায়েন্স, মেডিকেল সায়েন্স, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অ্যাপ্লাইড সায়েন্স, ফিজিক্যাল সায়েন্স ও ইন্টার-ডিসিপ্লিনারি গ্রুপসহ ছয়টি গ্রুপে গবেষণা অনুদান দেওয়া হয়। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় উৎসাহ দেওয়াই এর মূল উদ্দেশ্য।