
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রলীগের সংবাদ সম্মেলন। ছবি: ঢাবি প্রতিনিধি
আগামী ৮-৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে আগামী ২ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখা ছাত্রলীগের যৌথ সম্মেলন রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হবে। এর পরের দিন (৩ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অপরাজেয় বাংলায় ছাত্রলীগের ঢাবি শাখার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
আজ সোমবার (২১ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি ইবরাহীম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান হৃদয় ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক জোবায়ের আহমেদসহ সংগঠনের পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মীরা।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগ সভাপতি লিখিত বক্তব্যে বিগত বছরগুলোতে তাদের বিভিন্ন অর্জন ও কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন।
বিশেষ করে করোনা অতিমারির সময়ে ছাত্রলীগের বিনামূল্যে জয় বাংলা অক্সিজেন সেবা, টেলিমেডিসিন সেবা, করুনায় মৃত ব্যক্তির দাফন সৎকার কাজে সহায়তা করাসহ নানা ভূমিকা তুলে ধরেন।
আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারন করে দেশনেত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনায় সর্বস্তরের মানুষের কল্যাণে ছাত্রলীগ কাজ করে যাচ্ছে ও যাবে। জাতির যেকোনো দুর্যোগে ছাত্রলীগ সব সময় পাশে দাঁড়িয়েছে।
ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতির মোকাবিলায় দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে সহায়তা পৌঁছে দিয়েছে ছাত্রলীগ। সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যায় স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে দুর্যোগ আক্রান্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিল ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের ভার্চ্যুয়াল ব্লাড ব্যাংক মানুষের কাছে বিনামূল্যে রক্ত সরবরাহ করতে নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের কল্যাণে ছাত্রলীগ ৭৬ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে মেধা বৃত্তি ও ৭৬টি সাইকেল প্রদান করে।
জয় বলেন, দেশের ক্রান্তি লগ্নে ছাত্রলীগ কখনো কিছু হটেনি। ভবিষ্যতেও প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে যেকোনো অপশক্তিকে মোকাবিলা করতে প্রস্তুত রয়েছে ছাত্রলীগ।
প্রসঙ্গত, আগামী ৮ ডিসেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এবং ৯ ডিসেম্বর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশনে দুই দিনব্যাপী বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।