যেকোনো বয়সে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ দিতে হবে: শিক্ষামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৭ নভেম্বর ২০২২, ২৩:৪৩

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। ছবি: ফাইল
উচ্চশিক্ষার দরজা সবার জন্য উন্মুক্ত রাখার আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, যেকোনো বয়সে একজন শিক্ষার্থীকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ দিতে।
আজ রবিবার (২৭ নভেম্বর) রাজধানীতে রাওয়া রিসার্চ অ্যান্ড স্টাডি ফোরাম আয়োজিত ‘শিক্ষা ও নৈতিকতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে উচ্চশিক্ষায় নানামুখী বাধা রয়েছে। জীবনব্যাপী শিক্ষা নিশ্চিত করতে হলে আমাদের উচ্চশিক্ষার দেয়ালগুলো ভেঙে দিতে হবে। কেউ যদি উচ্চমাধ্যমিকের পর কর্মজীবনে জড়িয়ে পড়ে পরবর্তী সময়ে সে চাইলে তাকেও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ দিতে হবে।
তিনি বলেন, নৈতিকতা বোধ না শিখে আমরা যদি অনেক বেশি শিক্ষিত হয়ে যাই, দক্ষ হই, তাহলে সেই শিক্ষার কোনো মূল্য নেই। এ জন্য সঠিক শিক্ষাগ্রহণের পাশাপাশি আমাদের শিক্ষার্থীদের নৈতিক মূল্যবোধও শেখাতে হবে।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি ইউজিসি চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগম বলেন, বর্তমানে আমাদের প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় পর্যন্ত, শিক্ষার্থীদের মধ্যে মূল্যবোধের অবক্ষয় পরিলক্ষিত হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের নৈতিক অধঃপতন ঠেকাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমে নৈতিক শিক্ষার বিষয়টি যুক্ত করা জরুরি। পাশাপাশি বিভাগের সহশিক্ষা কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের আচরণের বিভিন্ন দিক মূল্যায়নে কোর্স শিক্ষকেরা নম্বর বরাদ্দের ব্যবস্থা করতে পারেন।
সেমিনারে নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক, সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) সাবেক উপাচার্য লে. জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান। রাওয়ার সভাপতি মেজর জেনারেল (অব) আলাউদ্দিন এম এ ওয়াদুদের সভাপতিত্বে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক খুরশীদা বেগম।
অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, নানা ধারা-উপধারায় বিভক্ত হওয়ার কারণে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা অত্যন্ত জটিল হয়ে উঠেছে। এর থেকে বের হতে রাষ্ট্রের সুস্পষ্ট লক্ষ্য এবং তা বাস্তবায়নের জন্য সঠিক কর্মনীতি দরকার। পাশাপাশি স্কুলসহ উচ্চশিক্ষার সকল স্তরেও নীতিবিদ্যাকে স্থান দিতে হবে। এ সময় তিনি উন্নত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে প্রয়োজনের আলোকে গ্রহণ করে এগুলো দ্বারা পরিচালিত না হতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানান।
সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, নীতিশাস্ত্রের সফল বিকাশ ঘটাতে পারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। যদি এর সঙ্গে পরিবার সংযুক্ত থাকে তাহলে বিকাশটি আশানুরূপ হয়। কিন্তু আমাদের দেশের সমাজ বাস্তবতা পাল্টেছে, পরিবারের ভেতর সুনীতির চর্চা কমেছে। কোনো কোনো পরিবারের সুনীতির জায়গা নিয়ে নিয়েছে দুর্নীতি।