
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া। ছবি: ববি প্রতিনিধি
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় চড়া দামে নিম্নমানের খাবার বিক্রি করায় শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, খাবারের দাম অনেক বেশি হলেও মান খুবই খারাপ। এছাড়া নোংরা পরিবেশে করা হয় পরিবেশন। পচা-বাসি খাবারও গরম করে পুনরায় বিক্রির অভিযোগও করেন তারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, ভাত, মাছ, মাংস, সবজি, সিংগারা, চমুচা, পরোটা, ভাজিসহ অন্যান্য ভারি খাবার পাওয়া যায় এখানে। এসব খাবারের মধ্যে অধিকাংশই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি ও অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় পরিবেশন করা হয়। এছাড়াও টেবিলের নিচে ফ্লোরে ঢাকনা ছাড়া রয়েছে রান্না করা তরকারি। এর ওপর ভনভন করছে মাছি। খাবারের দামও আগের তুলনায় বেশি রাখা হচ্ছে।
ক্ষোভ প্রকাশ করে কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, খাবারের মান খারাপ। আগের দিনের থাকা সিঙ্গারা, সামুচা, রোলসহ অন্যান্য আইটেমগুলো গরম করে দেওয়া হয়। খাবারের মান নিয়ে কথা বলতে গেলে কাউন্টারে দায়িত্বরত থাকা ব্যক্তিরা উল্টো ছাত্রদের সাথে এমন ব্যবহার করেন যেন শিক্ষার্থীরা তাদের হাতে জিম্মি।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আনিসুর রহমান খাবারের মান ও দাম নিয়ে প্রশ্নতুলে একটি পোস্ট করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী নিয়াজ মোর্শেদ বলেন, এর আগে আমায় পচা সিঙ্গারা দিয়েছে। তা নোটিশ করলে খাবার পরিবেশনের পরিচালক জহিরুল ইসলাম আমার সাথে বিতর্কে জড়ান। আসলে তিনি কোনো অভিযোগ আমলে নেন না।
এ বিষয়ে ক্যাফেটেরিয়ার পরিচালক জ্যোতির্ময় বিশ্বাসের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মৌখিকভাবে আমি যে অভিযোগগুলো পেয়েছি তা সমাধান করার চেষ্টা করেছি। এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। যে যেভাবে আমার কাছে অভিযোগ দিয়েছে আমি সেভাবে সমাধান করার চেষ্টা করেছি।’
খাবারের মান নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, খাবারের মান যাচাই করবে শিক্ষার্থীরা। যারা লিখিত অভিযোগ করবে তাদেরকে নিয়ে আমি এরপর বসে সিদ্ধান্ত নেব কি করা উচিত। তারাই ক্যাফেটেরিয়া পরিচালনার জন্য লোকজন এনে দিবে এবং তারাই ক্যাফেটেরিয়ার খাবার সরবরাহ করবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন শিক্ষার্থীদের এ বিষয়ে আশ্বস্ত করে বলেন, এ বিষয়টা আমি অবশ্যই দেখবো। আমাকে অবহিত করানোর জন্য ধন্যবাদ।