
মাধ্যমিকের কেন্দ্রীয় বই উৎসব উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। ছবি: সংগৃহীত
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে গত দুই বছর বই উৎসব হয়নি। করোনা নিয়ন্ত্রণে আসায় এবার সারাদেশে আড়ম্বপূর্ণভাবে বই উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নতুন বই পাওয়ার অপেক্ষায় সারাদেশের লাখ লাখ শিক্ষার্থী।
গাজীপুরের কাপাসিয়া পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে মাধ্যমিকের কেন্দ্রীয় বই উৎসব উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
এদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে হবে প্রাথমিকের বই উৎসব উদ্বোধন করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।
তবে, গতকাল শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) নতুন শিক্ষাবর্ষে সারাদেশে বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এনসিটিবির চেয়ারম্যান মো. ফরহাদুল ইসলাম বলেন, পাঠ্যপুস্তক উৎসবের কোনো ঘাটতি হবে না। উৎসবের জন্য সব জায়গাতেই বই গেছে এবং সব শিক্ষার্থীই নতুন বই হাতে পাবে। তবে শতভাগ বই দিতে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত লেগে যেতে পারে।
এদিকে, এখন পর্যন্ত মাধ্যমিক পর্যায়ের ৮০ শতাংশ ও প্রাথমিকের ৬৫ শতাংশ বই উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছানো হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। যদিও মুদ্রণ শিল্প সমিতির দাবি, ঘাটতির পরিমাণ এনসিটিবির হিসাবের চেয়ে অনেক বেশি। কাগজ সংকটে প্রাথমিকের বই ছাপানো দেরিতে শুরু হওয়ায় সংকট বেশি ঘনীভূত হয়েছে। নিম্নমানের বইয়ের পাশাপাশি এবার প্রচুরসংখ্যক শিক্ষার্থীর নতুন বই নির্ধারিত সময় না পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এনসিটিবির সূত্রমতে, গতকাল বিকেল পর্যন্ত প্রাথমিকে ৭ কোটি ৫০ হাজারের কিছু বেশি বই ছাপা হয়েছে। তবে ছাপার পর আনুষঙ্গিক কাজ শেষে উপজেলা পর্যায়ে গেছে ৬ কোটি ৭৭ লাখের বেশি বই। অন্যদিকে মাধ্যমিকে ১৯ কোটি ২২ লাখের বেশি বই ছাপা হয়েছে। এর মধ্যে উপজেলা পর্যায়ে গেছে ১৭ কোটি ৭৯ লাখের বেশি বই।
সারা দেশে সব মিলিয়ে প্রায় চার কোটি শিক্ষার্থীকে নতুন বই দেওয়া হবে। এবার প্রাথমিকে ৯ কোটি ৬৬ লাখ ৮ হাজার ২৪৫টি এবং মাধ্যমিকে ২৩ কোটি ৮৩ লাখ ৭০ হাজার ৫৮৮টি বই ছাপানো হচ্ছে।