ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির পর এবার অষ্টম ও নবম শ্রেণির পরীক্ষাও থাকবে না বলে এনসিটিবি সূত্র। আগামী বছর থেকে নতুন পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করা হবে এই দুই শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের।
এর আগে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে কোনও পরীক্ষা হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছিল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
এ বিষয়ে এনসিটিবির সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন কারিকুলাম আসায় এখন এ পদ্ধতি শুরু হয়েছে। আগামী বছর অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে নতুন কারিকুলাম আসলে সেখানেও এভাবে মূল্যায়ন হবে। এভাবে মূল্যায়নের আলোকেই ক্লাস রোলও নির্ধারণ হবে।
অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান বলেন, পরীক্ষা শব্দটির দীর্ঘদিনের চর্চার কারণে এমন ধারণা জন্মেছে যে, একটি নির্দিষ্ট দিনে দুই বা তিন ঘণ্টা নির্দিষ্ট সময়ে লিখে উত্তরপত্র জমা দেবে। তবে আমরা ধারাবাহিক মূল্যায়নের কথা বলেছি শুরু থেকেই। এর মানে হলো, শিক্ষার্থীরা সব সময় কোনও না কোনও প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান আরও বলেন, এর কিছু এভিডেন্স তৈরি হচ্ছে। তার ভিত্তিতে মূল্যায়নটা হয়। বইয়ের মধ্যেই মূল্যায়ন ছক দেওয়া আছে। অন্য জায়গায়ও দেওয়া আছে। শিক্ষকেরা সেটি অনুসরণ করে শিক্ষকেরা মূল্যায়ন করে যাচ্ছে। তবে কথা বলা হচ্ছে, পরীক্ষাটা তো হচ্ছে না। আসলে শিক্ষকেরা প্রতিনিয়ত পরীক্ষা নিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, আগের মতো তিন বা দুই ঘণ্টার পরীক্ষা না। অনেকটা প্রয়োগিক বা প্র্যাকটিক্যাল টাইপের পরীক্ষা হবে। এখন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক কারিকুলাম। কাকে বলে, কত প্রকার কি কি? এ জাতীয় নয়। যেটা জানে সেটা করতে পারে কি-না, তা যাচাই করা হবে। যেমন- কেমন করে সাতার কাটে সেটা বইতে লিখে দেওয়া হলো। কিন্তু আসলে সাতার পারে কি-না, সেটার প্রমাণ পাওয়া যাবে না।
অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান আরও বলেন, সাতার কাটলেই জানা যাবে যে, সাতার পারে কি-না। কাজটা দক্ষতার সঙ্গে করতে পারছে কি-না, সে যোগ্যতা আছে কি-না, সেটি জানা। এটা করতে গেলে আসলে তিন ঘণ্টার পরীক্ষায় বোঝা যাবে না। সে জন্য এভাবে পরীক্ষা নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2023 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh