বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের থেকে কোষাধ্যক্ষ চায় শিক্ষক সমিতি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষকদের মধ্য থেকে পরবর্তী কোষাধ্যক্ষ নিয়োগ চায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। এছাড়াও বর্তমান কোষাধ্যক্ষের বিভিন্ন অনিয়ম তুলেছেন শিক্ষক সমিতির নেতারা। 

আজ বুধবার (৪ অক্টোবর) এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষকরা এ দাবি জানিয়েছেন। 

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমান লিখিত বক্তব্যে বলেন, ইতোমধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন অধ্যাপককে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য এবং দুইজন অধ্যাপককে উপ-উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে এবং তারা সুনামের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। 

এছাড়াও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য পদে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন অধ্যাপক বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে, অথচ আমরা পিছিয়ে পড়ছি প্রশাসনিক দুর্বলতার কারণে।


বর্তমান কোষাধ্যক্ষের অনিয়ম তুলে ধরে শিক্ষকরা বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নতুন ক্যাম্পাস প্রকল্পের মেয়াদ তিন বার বর্ধিত করা হয়েছে। তিন বার বর্ধিত করার পর কাজ হয়েছে খুবই সামান্য পরিমাণে। এমনকি অর্থের বিরাট অংশ অব্যয়িত রয়ে গেছে বলে বিভিন্ন মাধ্যমে জানা গেছে। প্রকল্পের লেকের কাজ যুদ্ধাপরাধী সাকা চৌধুরীর পরিবারের গ্রুপকে টেন্ডার দেওয়া এবং কাজ শেষ হওয়ার আগেই তা ভেঙে পড়েছে। প্রকৌশল ভবন নির্মাণে অতিরিক্ত ব্যয়, অর্থ দপ্তরের আর্থিক কেলেঙ্কারিসহ বেশ কিছু অনিয়ম তুলে ধরেছেন শিক্ষক সমিতির নেতারা। 

জবি থেকে ট্রেজারার নিয়োগের দাবি জানিয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে বিভিন্ন গ্রেডে ১৫৬ জন অধ্যাপক রয়েছেন৷ সার্বিক উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার স্বার্থে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত অধ্যাপকগণের মধ্য থেকে যেকোনো একজনকে কোষাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ প্রদান করে শিক্ষকবৃন্দের মতামতের প্রতিফলন ঘটাবেন বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি৷ 

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমান বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের মধ্য থেকে উপাচার্য এবং ট্রেজারার নিয়োগের দাবি জানিয়ে আসছি৷ আজ আমরা অফিসিয়ালি তা উপস্থাপন করলাম৷ 

আরেক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম বলেন, নতুন ক্যাম্পাসের কাজের ধীরগতি নিয়ে আমরা প্রায়ই উপাচার্য স্যারের সাথে কথা বলেছি৷ নতুন ক্যাম্পাস পরিদর্শন করে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে তা অবহিত করেছি, সীমানা প্রাচীরের খসে যাওয়া চিত্র এনে দেখিয়েছি৷ এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছি। 

উল্লেখ্য যে, আগামী ২৬ নভেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদের মেয়াদ শেষ হবে। পরবর্তী কোষাধ্যক্ষ কে হবে তাই নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে শিক্ষকদের মাঝে চলছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সরকারের উচ্চ পদস্থ জায়গায় দৌড়ঝাঁপ।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2023 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //