পাঠ্যবইয়ে নামের ভুলে জড়িতদের শোকজ

জুলাই অভ্যুত্থানের পর নতুন আর পুরাতন ঘটনাপ্রবাহের মেলবন্ধনে হয়েছে পাঠ্যবই সংশোধন। যেখানে ইতিহাসের বয়ানে ঠাঁই পেয়েছেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শেরেবাংলা একে ফজলুল হক, মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, কমরেড মনি সিং, অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ, মনোরঞ্জন ধর, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমেদ, জিয়াউর রহমানসহ বহু নেতা।

হাসিনার পতনের পরও ইতিহাসের পাতা থেকে বাদ যায়নি তার পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানও। তবে মুক্তিযুদ্ধে রাজাকার, আলবদরদের কুকীর্তি উল্লেখ থাকলেও, বাদ পড়েছে জামায়াতে ইসলামি ও গোলাম আজমের সংশ্লিষ্টতা।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক ড. এস এম হাফিজুর রহমান বলেন, "ইতিহাসের সঙ্গে ক্ষমতার রাজনীতি মিশিয়ে তা বিকৃত করা খুবই দুঃখজনক। জনগণের সঠিক ইতিহাস জানার অধিকার থাকা উচিত।

পাঠ্যবইয়ে উঠে এসেছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানও। পঞ্চম, অষ্টম, নবম-দশম শ্রেণিতে এসেছে সাম্প্রতিক অভ্যুত্থানের আইকনিক চরিত্র আবু সাইদসহ মীর মুগ্ধ, নাফিজ, নাফিসা, আনাসের মতো শহীদদের নাম। শুধু তাই নয়, গত দেড় দশকে আওয়ামী শাসনের কর্তৃত্ববাদী রূপ, ভোট ডাকাতি, এমনকি জনগণের আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার পলায়নও স্থান পেয়েছে।

তবে কারিকুলাম বাতিল, পরিমার্জন ও নতুন কার্যাদেশের চাপে পিছিয়ে গেছে বই ছাপানোর কাজ শেষের সময়। ছাপা বইয়ে আগের মতো গড়পরতা ভুলভ্রান্তি না থাকলেও, আবু সাইদের মৃত্যুর তারিখ ও শহীদ নাফিসার নাম ভুল ছিল, যা ইতোমধ্যে সংশোধন করে, কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে সংশ্লিষ্টদের।

এনসিটিবির দাবি, ছাপাখানা ও কাগজ সরবরাহকারীদের অসহযোগিতায় পাঠ্যবই মুদ্রণে পড়তে হয়েছে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে। সংস্থানটির চেয়ারম্যান ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান বলেন, তারা একদিকে লাভ খুঁজছে অন্যদিকে জাতি যেন যেন পিছিয়ে পরে সে অপচেষ্টাতেই তারা লিপ্ত হয়েছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, তুলে নেয়া হয়েছে ৯ টি প্রতিষ্ঠানের ছাপানো নিম্নমানের পাঠ্যবই। আর ১৮ টির মতো ছাপাখানা সক্ষমতার সদ্ব্যবহার করেনি।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2025 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh