ঈদে ভারী খাবার খেয়েও যেভাবে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখবেন

রুবাইয়া রীতি
প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২৩, ১৫:০৯

খাবার। ছবি: সংগৃহীত
মুসলমানদের জন্য ঈদ পরম আনন্দের দিন। রমজান মাস জুড়ে রোজা রাখার পর যখন ঈদের দিন আসে তখন ছোট ও বড়দের খুশির সীমা থাকে না। ঈদকে কেন্দ্র করে চলে মেহেদি উৎসব, সালামি, বাসায় ভালো ও মজাদার বাহারি খাবারের রান্না। ঈদের দিন থেকে প্রথম ৩-৪ দিন পর্যন্ত চলে প্রিয় খাবার খাওয়ার প্রতিযোগিতা।
সবার বাসায় কম বেশি মজাদার খাবার খাওয়া হয়। তবে এত ভারী ও মজাদার খাবারের মাঝে উল্লেখের হলো-বিরিয়ানি, পোলাও, মুরগির রোস্ট, খাসির রেজালা, গরুর মাংস ভুনা, চিংড়ির মালাইকারী, কাবাব ও বিভিন্ন রকমের মিষ্টান্ন খাবার।
এত খাবার টানা খেতে থাকলে বাড়তে পারে কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিক রোগীদের বেড়ে যেতে পারে ব্লাড সুগার, বাড়তে পারে দেহের অতিরিক্ত ওজন, হতে পারে ফ্যাটি লিভার, হজমে সমস্যা হতে পারে, অ্যাসিডিটি বেড়ে যাওয়া ছাড়াও আরও কত কী!
এখন প্রশ্ন হলো ঈদে এত ভারী খাবার খেয়েও কি ওজন কমানোর কোনো উপায় নেই? তার মানে কি প্রিয় খাবার না খেয়ে থাকতে হবে? অবশ্যই নয়!
ঈদে প্রিয় ও ভারী খাবার খেয়েও আপনি সুস্থ থাকবেন, তবে মানতে হবে বেশ কিছু নিয়ম। যেমন-
- ঈদের সময় নিয়মিত হাঁটতে ভুলবেন না। প্রতিদিন সর্বনিম্ন ৩০ মিনিট সময় হাঁটবেন। যদি বাইরে না যেতে পারেন তবে ঘরেই হাঁটুন।
-ভিটামিন ‘সি’ আছে এমন ফল যেমন মালটা, কমলালেবু, পেয়ারা খেতে ভুলবেন না।
-যাদের ওজন বেশি তারা পোলাও, বিরিয়ানি ১০০ গ্রামের বেশি খাবেন না। সঙ্গে রাখবেন প্রচুর পরিমাণে সালাদ।
-লাল মাংস যতটা সম্ভব কম খাবেন। মুরগির মাংস খেতে পারেন তবে রাতে মাছ খাওয়াই উত্তম।
-খাবার শেষে তেঁতুলের শরবত বা বোরহানি খেতে পারেন। এতে খাবার দ্রুত হজম হবে।
-প্রতিদিন ২.৫ লিটার পানি পান করবেন। প্রয়োজনে ৩-৪ বার কুসুম গরম পানি পান করবেন।
-৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে ভুলবেন না। মানসিক প্রশান্তির পাশাপাশি পেটের চর্বি কমাবে।
- প্লেটের অর্ধেক রাখবেন শাক-সবজি ও সালাদ।
-যে কোনো এক প্রকারের বেশি মিষ্টি জাতীয় খাবার খাবেন না। ডায়াবেটিক রোগীরা মিষ্টি এড়িয়ে চলবেন।
লেখক: পুষ্টিবিদ